মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। তা না হলে কানে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে থাকবে।
আমাদের পাঁচটা ইন্দ্রিয়র মধ্যে কান হচ্ছে শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কোনও কিছু শোনার জন্য শরীরের এই অঙ্গটি আমাদের সাহায্য করে। অসাবধানতার কারণে কিংবা কান চুলকাতে গিয়ে কাঠি ভেঙে কানের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। আবার পোকামাকড়, মশা-মাছি প্রভৃতি কানের মধ্যে ঢুকে পড়ে নানা সময়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এরকম সমস্যা হলে কান খোঁচাখুঁচি করলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কানে কটনবাডের অংশ, দেশলাইয়ের কাঠি, পালক, ধান, ফলের বীজ, মুড়িজাতীয় কিছু ঢুকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি হলেও অসুবিধা নেই। তবে মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়ে বা অন্য কোনো জীব ঢুকে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। তা না হলে কানে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে থাকবে।
কানে মশা কিংবা মাছি বা অন্য কোনও পোকা ঢুকে গেলে কী করবেন?
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কানে মশা, মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকলে প্রথমেই কানের মধ্যে টর্চলাইট ফেলুন। এতে জীবন্ত পোকামাকড় আলোর প্রতি সংবেদনশীল হওয়ায় বেরিয়ে আসতে পারে।
২. কানে কোনও পোকা ঢুকলে প্রথমেই অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল কয়েক ফোঁটা কানের মধ্যে দিন। পিঁপড়ে বা পোকামাকড় মরে যাবে, ফলে ব্যথা বা অস্বস্তি কমে যাবে। এরপর নাক -কান -গলার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। কানের ভেতরে ঢুকে যাওয়া বস্তু এবং তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকরা বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে সেই বস্তুটিকে বাইরে বের করে আনবেন।
৩. কানে জড় পদার্থ ঢুকলে সেটিকে বের করার জন্য কোনও ধরনের চেষ্টা না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। খোঁচাখুঁচির ফলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে। তাই নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এমন কানের মধ্যে মশা কিংবা মাছি ঢুকে গেলে, এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরুন। অন্য হাত দিয়ে অন্য কানটি চেপে ঢরুন। তাতে ভিতরে থাকা পোকা অনেক সময়ই বেরিয়ে আসে।