মাসকয়েক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওজন কমানোর একটা হ্যাক খুব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে কফির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে নাচি চোখের পলকে কমবে ওজন, বিশেষ করে পেটের চর্বি। তৈরি করাও খুব সহজ। ঘুম চোখে এই কাজটা করতে তাই আপনার সেরকম কোনও সমস্যাও হবে না! আর কদিনেই হাতেনাতে ফল পেয়ে যাবেন।
অনেকেই ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন এই কফি আর লেবুর কথা। তবে আপনাকে জানতে হবে কতটা পরিমাণে খাবেন আর কীভাবে খাবেন। হার্ভার্ড টিএইচ চান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ রিসার্চাররা এক গবেষণায় জানিয়েছেন কফি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। যা আপনার শরীরের ক্যালরি খরচ করার ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। এদিকে দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন দেখেছে যাঁরা রোজ ২-৩ কাপ কফি খায় তাঁদের শরীর ও পেটের মেদ ২.৮ শতাংশ কম হয় তাঁদের থেকে যারা কফি খান না। এমনকী বাজারচলতি ফ্যাট বার্নার ওষুধেও ব্যবহার করা হয় উচ্চমাত্রায় ক্যাফিন।
আর অন্য দিকে লেবুর জল খুব ভালো ভিটামিন সি-র উৎস। রোজ লেবু জল খাওয়ারও একাধিক উপকারিতা রয়েছে। লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। লেবুর আরেক বড় উপকার হল এটি হজমে সাহায্য করে আর কিডনি স্টোন হওয়া আটকায়। লেবুতে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পলিফেনলস শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না। জাপানের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে লেবু শরীরের ইনসুলিন ও গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে আর ওবেসিটি আটকায়।
একটা মগে ১ চামচ কফি পাউডার দিন। এবার তাতে দিন ১ টেবিল চামচ লেবুর রস। এবার মগ গরম জল দিয়ে ভরে দিন। ভালো করে নাড়ুন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার কফি লেবুর ওয়েটলস ড্রিঙ্ক।
সকালে খালি পেটে খান। খাওয়ার ৪০ মিনিট পর ব্রেকফাস্ট করুন। দিনে কতবার খাওয়া যায়? ৩ বার খেতে পারেন সারাদিনে, তার বেশি না খাওয়াই ভালো। অম্বল হচ্ছে এটা খেয়ে? খালি পেটে না খেয়ে একটা খেজুর খান। তার ১০ মিনিট পর পান করুন কফি লেবুর জল। আর তারপরেও সমস্যা হলে বন্ধ করে দিন খাওয়া।