মধুমেহ রোগে আক্রান্ত হলেই হাজির হয় খাওয়া দাওয়া বা ডায়েট নিয়ে একগুচ্ছ সমস্যা৷ জারি হয় বহু নিষেধাজ্ঞা৷ কোন ফল খাবেন, তা নিয়েও চলে আসে নিষেধের বেড়াজাল৷
ফল খাওয়া নিয়েও দেখা দেয় চিন্তা৷ কারণ অধিকাংশ ফল খেলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় দ্রুত৷ তবে মধুমেহ রোগেও একাধিক ফল নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়৷ আসুন, দেখে নিই সেগুলি কী কী৷
•পিচফলের বায়ো অ্যাক্টিভ যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় ৷ তাছাড়া এই ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম৷ স্নেহজাতীয় পদার্থের পরিমাণও নামমাত্র ৷ তাই ডায়াবেটিস হলে পিচ খেতেই পারেন৷
•রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় আপেল ৷ এতে আছে প্রচুর পলিফেনলস৷ এর ফলে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ৷ তাছাড়া আপালের প্রভাবে শর্করা দ্রুত এনার্জিতে রপান্তরিত হয়৷
•বেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট৷ তাই মধুমেহ রোগীরা তাঁদের ডায়েটে বেরিজাতীয় ফল রাখতেই পারেন৷
•কালোজামে থাকা রাসায়নিক যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রভাবে স্টার্চ দ্রুত এনার্জিতে রূপান্তরিত হয়৷ তাই তাঁরা নিশ্চিন্তে কালোজাম খেতে পারেন৷
এছাড়াও মধুমেহ রোগীরা খেতে পারেন অ্যাপ্রিকট, অ্যাভোকাডো, আঙুর৷ তবে ফলের রসের বদলে খান গোটা ফল৷ ফলের রসের মাধ্যমে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় শরীরে৷