প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খান ‘রসুন’ ও ‘মধু’, তারপর দেখুন ম্যাজিক

রসুন এবং মধুর গুণ সম্পর্কে কম বেশি আমরা সকলেই জানি। বিশেষজ্ঞদারে মতে, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তজমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

তাই তো আপনার যদি কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনি যে অন্যদের থেকে অনেক বেশি সুস্থ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তো শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, ঔষধি গুণের কারণেও রসুনের কদর রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে এড়ানো যায় রোগভোগ। তবে রসুনের সঙ্গে যদি মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে মেলে আরও অনেক সুফল। জেনে সে সম্পর্কে…

​পেটের যে কোনও সমস্যা কমাতে ‘মহৌষধি’
ডায়ারিয়া এবং পেটের সমস্যা দূর করতে রসুন আর মধুর মিশ্রণের কোনও বিকল্প নেই। এখানেই শেষ নয়, রসুনে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যে কোনও ধরনের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন অংশের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের প্রকোপ কমাতেও রসুন আর মধু খেতে পারেন। উপকার মিলবে হাতেনাতে। রসুন আর মধুর মিশ্রণ নিয়মিত খেলে ধমনীতে জমে থাকা ফ্যাট ঝরে যায়। সেই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা? রসুন আর মধু সহযোগে তৈরি মিশ্রণ খান, উপকার পাবেন।

ক্লান্তি দূর করে
রসুনের ২-৩টি কোয়া কুঁচিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খান। দেখবেন, ক্লান্তি দূর হবে। সেই সঙ্গে শরীরও ফিট থাকবে।

ফ্লুর ‘টনিক’
অর্ধেক পেঁয়াজ কুঁচি, ৫ কোয়া রসুন কুঁচি, ২টি শুকনো লঙ্কা কুঁচি, ১ টেবিলচামচ আদা কুঁচি, একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগারের প্রয়োজন পড়বে এই টনিক বানাতে।

প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং শুকনো লঙ্কা কুঁচি মিশিয়ে নিন। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি করে রাখুন। এবার কুচোনো উপকরণের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। সব শেষে পরিমাণ মতো ভিনিগার মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং ফ্লুর প্রকোপ কমাতে নিয়মিত খান এই টনিক।