সন্তানের বেড়ে ওঠা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে সন্তানের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশের ব্যাপারে অধিকাংশ মা-বাবাই চিন্তা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাসই যথেষ্ট। এমন কিছু খাবার আছে যা শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করতে পারে। যেমন-
ডিম: সুষম খাদ্য হিসাবে ডিমের জুড়ি নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমে প্রচুর পরিমাণ কোলিন থাকে। কোলিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
ওটস : ওটসে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো উপাদান। এই উপদানগুলি মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোজ সকালে ওটস খাওয়া শিশুদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর।
রঙিন সবজি: টমেটো, মিষ্টি আলু, কুমড়া কিংবা গাজরের মতো সবজিতে অন্যান্য জরুরি উপাদানের সঙ্গেই থাকে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। এই উপাদানটি একাধিক স্নায়ু ভাল রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যারোটিনয়েড অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি এই ধরনের সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিকাশে শাকও বেশ উপকারী।
দুধ: দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যও শিশুদের মস্তিষ্কের কোষের গঠন ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধে থাকে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে ও স্নায়ুকোষের আয়ু বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
স্যামন মাছ: সামুদ্রিক এই মাছটি আজকাল দেশেও পাওয়া যায়। স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যসিড’ থাকে। পাশাপাশি এই মাছে থাকে ‘ডিএইচএ’ ও ‘ইপিএ’ নামক এমন দু’টি উপাদান, যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও কার্যকারিতা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে শিশুদের এই মাছ খাওয়ানো গেলে, তা তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষায় হয়ে উঠতে পারে ‘সুপারফুড’। এছাড়া অনেক সামুদ্রিক মাছই শিশুদের মস্তিস্কের বিকাশে কার্যকর।