বাড়তি ওজন আধুনিক জীবনযাত্রায় একটি অন্যতম সমস্যা। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের মেয়েরা গ্রামের মেয়েদের তুলনায় বেশি মোটা হয়। কিন্তু শহরের মেয়েরা মোটা হয় কেন?
১. শহরের মেয়েরা সকালের নাশতা নিয়মিত খায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাশতা না খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২. দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের মেয়েরা ফাস্টফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খায়। আর এটি মোটা হওয়ার একটি বড় কারণ।
৩. জার্নাল অব নার্সিং অ্যান্ড হেলথের তথ্যমতে, শহরের মেয়েরা শারীরিক পরিশ্রম কম করে। এতে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বাড়ে।
৪. ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় দেখা গেছে, শহরের মেয়েরা জল কম পান করে। তবে কোমল পানীয় বেশি পান করে। আর এতে মোটা হয়ে যায়।
৫. জার্নাল অব মেডিকেল নিউট্রিশন গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের মেয়েরা টিভি, ল্যাপটপ, ফোনে সময় বেশি দেয়। শহরের মেয়েরা গাড়ির ব্যবহার বেশি করে, কম হাঁটে। এটি তাদের স্থূল করে তোলে।
৬. দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের মেয়েরা মাছ কম, মাংস বেশি খায়। এতে ওজন বেড়ে যায়।
৭. ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব পাবলিক হেলথের মতে, শহরে বিভিন্ন খাদ্য, পানীয়ের সহজলভ্যতার জন্য মেয়েরা চকলেট, চিপস, আইসক্রিম বেশি খায়। এই অভ্যাস তাদের মোটা করে দেয়।
৮. পারিবারিক স্বাস্থ্যগত অসচেতনতার কারণেও শহরের মেয়েরা বেশি মোটা হয়। পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য যতটা চাপ দেওয়া হয়, স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য অতটা মনোযোগ দেওয়া হয় না।
৯. শহরের মেয়েরা রাতের খাবার দেরি করে খায়। সাইকোলজি টুডের গবেষণায় দেখা যায়, রাতের খাবার দেরি করে খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া শহরের মেয়েরা রাত জাগে, ঘুমায় কম। এটিও তাদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী।
১০. হরমোনের সমস্যাও মোটা হওয়ার একটি বড় কারণ। শহরের দূষিত পরিবেশ ও জিনগত কারণ অনেকাংশে মেয়েদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী।