আপনি কি ঘন কালো দাড়ি পেতে চান? তাহলে এই লেখাটি পড়ুন

এক সময় ক্লিন শেভ ছিল অধিকাংশ পুরুষের পছন্দের ফ্যাশন। তবে যুগ পাল্টেছে, সেই সঙ্গে বদলেছে ফ্যাশনও। এখন আর পুরুষদের ফ্যাশনে ক্লিন শেভ নেই। আছে মুখ ভর্তি দাড়ি। এটাই এখন পুরুষদের ফ্যাশনের নতুন ট্রেন্ড। ফ্যাশন দুনিয়ায় দাড়ির পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে গোঁফও।

আজকের দিনে পুরুষদের দাড়ির বৈচিত্র্য এতটাই বেশি যে দাড়ি নিয়ে ফ্যাশন উৎসাহীর সংখ্যাও কম নয়। টিনেজ থেকে বয়স্ক, গাল ভর্তি দাড়ি রাখতে সবাই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে শুধু ফ্যাশন বা লুকস-এর জন্য দাড়ি রাখলেই হবে না, দাড়ির সঠিক যত্নও নিতে হবে। নইলে পুরো পরিশ্রমটাই বৃথা। তাই দাড়ির স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ রাখতে নিম্নলিখিত টিপসগুলো মেনে চলুন-

নিয়মিত চিরুনির ব্যবহার

সুন্দর দাড়ি পেতে, চুলের মত রোজ দাড়িও আঁচড়ানো প্রয়োজন। নিয়মিত দাড়ি আঁচড়ানো কেবল জট পাকা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে তা না, পাশাপাশি এটি আপনার দাড়ির শেপকেও ঠিক রাখে। দাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্য ছোট ব্রিশেলস-এর চিরুনি ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।

পরিষ্কার রাখুন

চুলের মত দাড়িকেও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। যখন আপনার দাড়ি খুব বড় আকার ধারণ করে তখন এটি বেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। কারণ ত্বকের মৃত কোষগুলো দাড়িতে জমা হয় এবং ব়্যাশের সৃষ্টি করে। যা থেকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়।

কন্ডিশনিং

মাথার চুলের মতই আপনার দাড়িকে নরম রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এবং কয়েক মিনিট পর এটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, গায়ে ব্যবহার করা সাবান দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করবেন না। উন্নত মানের টক্সিন ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজেশন

কন্ডিশনার ব্যবহারের পর দাড়িকে ময়েশ্চারাইজ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। দাড়ির যত্ন নেয়ার অনেকগুলো পণ্য রয়েছে, যেগুলো আপনার দাড়িকে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এগুলো ব্যবহারে ত্বকের চুলকানি প্রতিরোধ হয় এবং ত্বককে আর্দ্র করে।

অ্যালোভেরা জেল

ত্বক এবং চুলের জন্য অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বক এবং দাড়ির গোড়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এটি। তাই রোজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন এবং দাড়িতে আনুন একস্ট্রা সাইন।

সময়মতো ট্রিম করুন

চুলের মতোই আপনার দাড়িও সময়মতো ট্রিম করা দরকার। এটি আপনার দাড়ির ক্ষতি রোধ করতে সহায়তা করে। দাড়ি কাটতে একটি ভালো গ্রুমিং কিট বা ট্রিমারের সাহায্য নিন। এতে দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। প্রতি দু’মাস অন্তর একবার দাড়ি ট্রিম করা প্রয়োজন।