Low Sodium Foods:
ব্যস্ত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ, অত্যধিক স্ট্রেস, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, জাঙ্ক ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে রক্তচাপ যখন-তখন বেড়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রক্তচাপ বিপদসীমার কাছে পৌঁছনোর আগে রোগী তা অনুভব করতে পারেন না। আর এই উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরেই বাড়তে থাকে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি। উচ্চ রক্তচাপ নিঃশব্দে মৃত্যু ডেকে আনে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া দরকার।
বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে। তাই জীবনযাপনে চটজলদি বদল আনতে না পারলেও, রোজের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই সব খাবার। এতে অসুখের আশঙ্কা কমবে অনেকটাই।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, কালে, ব্রকোলির মতো শাকসবজি ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ। এগুলি শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
ওটস
ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার রক্তচাপ কমাতে, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। যার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং রক্তনালীর কার্যকারিতাও উন্নত হয়। যা রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
বেরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেরিজাতীয় যে কোনও ফলই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই ফলগুলি আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। যা রক্তনালীর কার্যকারিতা বাড়িয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
রসুন
রসুনে থাকে অ্যালিসিন যৌগ, যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে। তাই ব্লাড প্রেশারের রোগীরা রোজের ডায়েটে রাখতেই পারেন রসুন।
ফ্যাটি ফিশ
স্যালমন, ম্যাকেরেল, ট্রাউটের মতো ফ্যাটি ফিশগুলি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এবং সোডিয়াম খুব কম। এই সব মাছ খেলে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টও সুস্থ থাকে।
বিট
বিটে নাইট্রেট বেশি থাকে, যা রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপের মাত্রা কমে।
রোজের এই ৪ অভ্যাসেই বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি
Disclaimer:
এই আর্টিকেলে উল্লিখিত সমস্ত তথ্য পরামর্শস্বরূপ। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।