খাবারে স্বাদ বাড়াতে ঘিয়ের তুলনা নেই। দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বিউটাইরক অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। ঘিয়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
‘দ্য কমপ্লিট বুক অফ হোম রেমিডিজ’ বই অনুসারে, ঘুমানোর সময় এক কাপ গরম দুধে এক বা দুই চামচ ঘি নিলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে বেশ কার্যকর হয়। ঘিয়ে থাকা বাটাইরিক অ্যাসিড অন্ত্রের সমস্যা কমায়। এছাড়া ঘি হজমশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে শোষণের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ঘরোয়া সমস্যা সমাধানে ঘি যেভাবে সহায়তা করে-
১. ঠান্ডা-সর্দি লাগা খুবই অস্বস্তিকর। ঠান্ডা লাগলে শুধু হাঁচিই হয় না, অনেকের শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এছাড়া স্বাদ নষ্ট ও মাথাব্যথা সমস্যা হয়। এ পরিস্থিতিতে নাকবন্ধ দূর করার অন্যতম সেরা উপায় হচ্ছে কয়েক ফোটা উষ্ণ ঘি নাকের মধ্যে ড্রপের আকারে দেওয়া। এতে শরীরের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
২.যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা খাবারে সামান্য ঘি ছড়িয়ে খেতে পারেন। এটি গ্লাইসেমিক সূচককে আরও আর্দ্র করবে। সেই সঙ্গে হজমে ভূমিকা রাখবে।
৩. ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ঘি শুষ্ক চুলের জন্য বেশ উপকারী। এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এজন্য দুই টেবিল চামচ ঘি এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এরপর ২০ মিনিট রেখে দিন। এই প্যাকটি চুল নরম করতে সাহায্য করবে। খুশকির জন্যও ঘি ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
৪. ঠোটের শুষ্কতা দূর করতে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমানোর আগে নিয়মিত ঠোঁটে ঘি লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট কমনীয় হয়ে উঠবে।