Vitamin D Deficiency in Kids: বাচ্চারা দৌড়ঝাঁপ করবে, খেলবে, পড়বে, কাটবে, ছড়বে আবার সেরেও যাবে। বাচ্চা সারাক্ষণ অ্যাক্টিভ থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক বাচ্চার মধ্যে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় সারা গায়ে-হাতে-পায়ে যন্ত্রণা, গা ম্যাজম্যাজ, ক্লান্তি, এনার্জির অভাব, পায়ের পেশিতে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, হঠাৎ হঠাৎ মুড পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে এই সমস্ত উপসর্গ দেখা দেয়।
সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’-র অভাবে ভোগে শিশুরা। অনেক সময় বাড়ন্ত বাচ্চারাও এই ঘাটতির শিকার হয়। জেনে নিন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবে কী কী সমস্যা হয় এবং এর থেকে মুক্তির উপায়।
শীতকালে আপনার শিশুর শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিন, রইল সহজ কিছু টিপস
রিকেট
বাচ্চাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সবচেয়ে মারাত্মক লক্ষণ হল রিকেট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি ঠিক মতো তৈরি না হলে ক্যালশিয়াম কাজ করতে পারে না। ফলে বাচ্চাদের শরীরে রিকেট রোগ থেকে শুরু করে বড়দের অস্টিওম্যালশিয়া, অস্টিওপোরেসিস প্রভৃতি নানাবিধ রোগ থাবা বসায়। রিকেটে আক্রান্ত হলে হাড়ের বিকাশে বাধা পড়ে। ফলে হাড় নরম হয়ে যাওয়া, যন্ত্রণা, পা বেঁকে যাওয়া, বৃদ্ধি না হওয়া এবং দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হয়।
পেশী দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
ভিটামিন ডি-র অভাবে ক্লান্তি, এনার্জির অভাব, যথেষ্ট ঘুমের পরেও ঘুমঘুম ভাব, পেশিতে ব্যথা এবং শারীরিক কার্যকলাপে সমস্যা হতে পারে। পেশি নাড়াচাড়া করতেও অসুবিধা হয়। খেলাধুলো করতে গিয়ে পড়ে গেলে, হাত-পায়ের হাড় ভাঙে খুব সহজেই।
ঘন ঘন সংক্রমণ
ভিটামিন ডি ইমিউন ফাংশনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভিটামিনের ঘাটতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ঘন ঘন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সংক্রমণের কবলে পড়তে হয়।
দাঁতের বিকাশ
দাঁতের বিকাশের জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। যে কারণে শরীরে এই ভিটামিনের অভাবে দাঁতের বিকাশে বিলম্ব হয়, দাঁতের এনামেল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দাঁতের নানা রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। দুধের দাঁত পড়ে গেলে, নতুন দাঁত উঠতেও অনেক দেরি হয়।
ধীরগতিতে বৃদ্ধি
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে গ্রোথ হরমোন উৎপাদনে বাধা পড়ে। যার ফলে শিশুর বৃদ্ধির হার কমে যায়।
ভিটামিন ডি-র অভাব পূরণের উপায়সূর্যের আলো হল ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে বড় উৎস। প্রতিদিন ভোরে অন্ততপক্ষে ১৫-২০ মিনিট রোদ পোহানো উচিত। শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বাড়ানোর সেরা উপায় এটি!
এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে। রাগি, সয়াবিন, কারি পাতা, তিল, মটন, ডিমের কুসুম, মাশরুম, দুধ, ছানা, মাখন থেকে শুরু করে দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় সামুদ্রিক মাছও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ।
তা ছাড়া বাজারে কিছু ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও পাওয়া যায়। সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে সাপ্লিমেন্ট ভুলেও নেবেন না। নিয়মিত এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামও ভিটামিন ডি উৎপাদনে সহায়তা করে।
Disclaimer:
এই আর্টিকেলে উল্লিখিত সমস্ত তথ্য পরামর্শস্বরূপ। কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।