আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের সাম্নেই বিভিন্ন ধরনের কথা বলে ফেলি। বাবা- মায়েরা অসেচেতন হয়েই শিশুদের সামনে ঝগড়া করতে শুরু করেন। আবার অনেক বড়দের কথা আছে যা অনেকেই অবলীলায় শিশুদের সামনে বলেন। বিশেষ করে কারো নামে বদনাম করছেন কিংবা ঝগড়া করছেন। এতে করে শিশুর মনে এই আচরণগুলো প্রভাব ফেলে।
এগুলো তার আচরণের মধ্যে স্থায়ী হয়ে যেতে পাড়ে। কারণ শিশুরা যা দেখে তাই ই শেখে। কখনোই এমন কিছু শিশুদের বলা চলবে না যেগুলো বললে শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে। আবার একটু ভুল করলেই তাদের দোষারোপ করেন কিংবা শাস্তি দেন। এতে করে তার মনে খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে তারা আরো বেশি অপরাধ প্রবণ হতে পাড়ে। তাহলে জেনে রাখুন শিশুর সামনে যে কথাগুলো না বলাই ভালো-
স্পয়েলড
এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার যে সন্তান চলতে চাইবে নিজের মর্জিমাফিক। যতই তার ভালোর জন্য হোক না কেন, মা-বাবার সব কথা সে শুনতে চাইবে না। এমনটা হলে সামান্য বকাঝকা করা যেতে পারে। কিন্তু কথায় কথায় সে কতটা স্পয়েলড বা উশৃঙ্খল, সেটা উল্লেখ করা চলবে না। তা হলে তার মনে ওই ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে থাকবে সারা জীবনের জন্য, নিজেকে শুধরে নেয়ার চেষ্টা সে ছেড়ে দেবে।
স্মার্ট
সন্তানের সামনে ঘন ঘন তার নিন্দে করা যেমন সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তেমনই অসুবিধা তৈরি করতে পারে প্রশংসাও। তাই সন্তান কতটা স্মার্ট বা চৌকস, সেটাও তার সামনে না বলাই ভালো। না হলে তার মনে নিজেকে নিয়ে অনর্থক ভুল ধারণা তৈরি হবে।
প্রিন্স বা প্রিন্সেস
এ সব শব্দও সন্তানের প্রশংসা করে তাকে না বলাটাই উচিত হবে। এতে তার মনে সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স জন্ম তো নেবেই! পাশাপাশি অন্য কেউ তার চেয়ে কোনো বিষয়ে এগিয়ে থাকলে সেখান থেকে জন্ম নেবে ঈর্ষা বা হীনম্মন্যতা। মোট কথা, কোনো প্রতিযোগিতাকে আর স্বাভাবিকভাবে নিতে শিখবে না সে।
বোকা
সন্তানদের অনেক সময় কোনো কিছু বুঝতে সময় লাগতেই পারে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে তাকে বুঝিয়ে যেতে হবে, সে যত সময়ই লাগুক না কেন। তাকে বোকা বললে সেটা তার মনে হীনম্মন্যতার জন্ম দেবে।