আপনি কি জানেন স্ট্রোক কেন বাথরুমেই বেশি হয়ে থাকে? না জানলে অবশ্যই জেনেনিন

একবার মনে করে দেখুন তো, স্নানের সময় আপনি প্রথমে কি করেন? বেশিরভাগ মানুষই প্রথমে মাথা এবং চুল ভিজিয়ে থাকি! যা একদমই উচিত নয়। এভাবে প্রথমেই মাথায় জল দিলে রক্ত দ্রুত মাথায় ওঠে যায়। এতে কৈশিক ও ধমনী একসঙ্গে ছিঁড়ে যেতে পারে। ফলস্বরুপ ঘটে স্ট্রোক অতঃপর মাটিতে পড়ে যাওয়া।

কানাডার মেডিকেল অ্যাসেসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনই বলা হয়েছে। স্ট্রোক বা মিনি স্ট্রোকের কারণে যে ধরনের ঝুঁকির কথা আগে ধারনা করা হতো, প্রকৃতপক্ষে এই ঝুঁকি দীর্ঘস্থায়ী এবং আরো ভয়াবহ। বিশ্বেও একাধিক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, স্নানের সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।

স্নানের সঠিক নিয়ম

প্রথমে পায়ের পাতা ভেজাতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে উপরে দিকে কাঁধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে। তারপর মুখে জল দিতে হবে। সবার শেষে মাথায় জল দেয়া উচিত।

রাতে বা ভোরে বাথরুমে যাওয়ার আগে কেন দেড় মিনিট সময় নেবেন?

হুট করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার কারণে আপনার ব্রেইনে সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও।

স্ট্রোক এড়াতে-

> প্রথমেই শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে হবে।

> প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার, সবজি ও ফল।

> প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট, তা না হলে ৩০ মিনিট হাঁটুন।

> ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।

> কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে, ঝাল-মসলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

> প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়া এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠে খালি পেটে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

> ধুমপান বন্ধ করতে হবে।

> নিয়ম করে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।

> যদি হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে, হাত পা বা শরীরের কোনো এক দিক হঠাৎ অবশ লাগলে, চোখে দেখতে বা কথা বলতে অসুবিধা হলে ও ঢোক গিলতে কষ্ট হলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।