প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ডাল রাখার পরামর্শ দেন বেশিরভাগ ডায়েটিশিয়ান। নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের খুব ভালো সোর্স হচ্ছে নানা ধরনের ডাল। ডাল আমাদের পেটও ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। আমাদের দেশে নানা ধরনের ডালের চাষ হয় এবং তার রান্নাও হয় নানা উপায়ে। চলুন জেনে নেই বিভিন্নরকম ডালের উপকারিতা-
কড়াইশুঁটি/ মটর: দুটোই সমান পুষ্টিকর। শীতে তাজা মটরশুঁটি যেকোনো রান্নার স্বাদ বাড়ায়। মটর খেতে ভালো তো বটেই, তার মধ্যে প্রচুর ফাইবার আর প্রোটিন আছে। আছে ভিটামিন কে আর বি ওয়ান।
কাবুলি ছোলা: কাবুলি ছোলা দিয়ে স্যুপ, সালাদ থেকে আরম্ভ করে চটপটি- সবই বানানো যায়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই ডাল খুব সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
মুগ/ মসুর/ অড়হর ডাল: মসুর ডাল হজম করা তুলনামূলকভাবে সহজ, রান্নাও হয় তাড়াতাড়ি। অড়হর ডালে ডায়েটারি ফাইবার আর ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা নারীদের জন্য বিশেষ করে খুব ভালো। মুগ ডালও সহজেই হজম হয়, তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডান্টও থাকে।
খেয়াল রাখুন: ডাল বা বিনস থেকে কারো কারো পেটে গ্যাস হয়। সেটি কাটানোর জন্যই পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জির বা হিংয়ের মতো মশলার ব্যবহার প্রচলিত। সেদ্ধ ডাল খেলেও তা খান পেঁয়াজসহ, তাতে পেট ফাঁপবে না।
ডাল খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একরাত ভিজিয়ে রেখে তবেই রান্না করুন। ডাল ভেজানো জলটা ফেলে না দিয়ে তাতেই রান্না করুন, কারণ এই জল পুষ্টিতে ঠাসা।