রোজ সকালে হাঁটলে যে সব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, জানলে অবাক হবেন

নিয়মিত হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকে। তাই আমাদের আরও বেশি হাঁটা প্রয়োজন। অনেকেই হাঁটেন। তবে কম মানুষই আছেন যারা যথেষ্ট হাঁটেন। এই হাঁটার রয়েছে অনেক উপকারিতা।

হাঁটালে পেশি সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে ও মেরামত হয়। হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ককেও সতেজ রেখে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। খবর-বিবিসি বাংলা।

এ ছাড়া চিন্তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, মেজাজ ভালো থাকে এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। ডাবলিনে ট্রিনিটি কলেজে মস্তিষ্ক বিষয়ে গবেষণা করেন স্নায়ুবিজ্ঞানী প্রফেসর শেন ও’মারা। তিনি হাঁটার কিছু উপকারিতার কথা তুলে ধরেছেন।

আসুন জেনে নিই কেন আরও বেশি হাঁটবেন-

১. হাঁটলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ শরীরে পেশিশক্তি কমে যাওয়া। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা– এর ফলে মস্তিষ্কও শুকিয়ে মরে যেতে শুরু করে। আমরা যখন হাঁটি, তখন পেশিতে তৈরি হওয়া মলিকিউল বা অণু আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।

২. হাঁটলে হার্ট ভালো থাকে। হৃৎপিণ্ড ভালো থাকার জন্য হাঁটা খুবই উপকারী।

৩. হাঁটা হজমে সাহায্য করে। হাঁটা মানুষের পরিপাকতন্ত্রের জন্যও বন্ধুর মতো কাজ করে। হাঁটাচলা করলে খাবারও বেশি হজম হয়।

৪. বিষণ্ণতা কাটাতে সাহায্য করে হাঁটা। স্নায়ুবিজ্ঞানী শেন ও’মারা বলেন, বিষণ্ণতার সঙ্গে বসে থাকার সম্পর্ক রয়েছে।

৫. আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বে কতগুলো বিষয় আছে এবং সক্রিয় থাকার সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক আছে। যেমন অকপটতা, বিবেক দিয়ে পরিচালিত হওয়া, বহির্মুখী হওয়া, কোনো কিছুর ব্যাপারে সম্মত হওয়া। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিষ্ক্রিয় থাকেন, তারা কম খোলা মনের হয়, কম বহির্মুখী হয় এবং তাদের স্নায়ুজনিত অনেক সমস্যাও দেখা দেয়।

৬. বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে হাঁটা। আমরা যে খাদ্যগ্রহণ করি, সেটি বিভিন্ন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। হাঁটাহাঁটি করা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

৭. হাঁটা শারীরিক গঠন অটুট রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই আছেন যাদের সারাদিন চেয়ারে, সোফায় কিংবা গাড়িতে বসে কাজ করতে হয়। ফলে শারীরিক গঠনে, বিশেষ করে পিঠে- ব্যথা হতে পারে। তাই বেশি করে হাঁটা জরুরি।