তার সঙ্গে শীতকালের আবহাওয়ার স্বাভাবিক জ্বরের প্রকোপও রয়েছে। সব মিলিয়ে বহু মানুষ এই মুহূর্তে জ্বরে আক্রান্ত। কেউ করোনা আক্রান্ত কেউ আবার শীতকালের সাধারণ জ্বরে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেকোনও প্রকার জ্বরই হোকনা কেন, স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় উপাদান এই সময়ে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক খাবার রাখতে হবে প্রতিদিনের তালিকায়। বহু মানুষ জ্বরের সমস্যা ডিম, মাছ কিংবা মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটা কি স্বাস্থ্যকর? নাকি ক্ষতিকর? করোনা
পরিস্থিতিতে যেকোনও খাবার খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর দিক এবং ক্ষতিকর দিন দুটোই জেনে রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বর হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফের বাড়ানোর জন্য এবং শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য এই সময়ে রোগীর পাতে পুষ্টিকর খাবার রাখা খুবই জরুরি। সঠিক পুষ্টিকর খাবার রোগীকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। তাই জ্বর হলে কী খাওয়াবে আর কী
খাওয়াবেন না, সে সম্পর্কে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই সময়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগী ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে। তার সঙ্গে থাকে ওষুধ। অনেক সময়ই রোগী এই সময়ে ডিহাইড্রেশনে ভোগে। এছাড়াও আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই সঠিক পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন থাকে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনও রকমের পুষ্টিকর খাবার জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, এই সমস্ত কিছুতেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড. ভিটামিন বি-সিক্স, বি১২, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম। এই সমস্ত কিছুই হাড় মজবুত করার সঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে
সাহায্য করে। সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তার সঙ্গে শরীরের দুর্বলতা দূর করে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তাই এই সমস্ত পুষ্টিকর খাবার রাখা খুবই জরুরি।