ইউরিক অ্যাসিড একটি মারাত্মক সমস্যা। এই অসুখে আক্রান্ত হলে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে জমে। তখন ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে গাউট আর্থ্রাইটিস হয়। এই অবস্থায় দাঁড়ালে খুব ব্যথা হয়। আক্রান্তস্থল ফুলে যেতে পারে। এমনকী জ্বালাও করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা সাধারণত খাদ্যাভাস থেকে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন-
রেড মিট : রেড মিট অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ রেড মিটে মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন থাকে। আর রেড মিটের প্রোটিন থেকে অনেকটা পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই রেড মিট খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
চিংড়ি: চিংড়ি কমবেশি সবারই পছন্দের। চিংড়িতে ভালো পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তাই চিংড়ি খেলেও সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে থাকলে চিংড়ি থেকে দূরে থাকুন।
সামুদ্রিক মাছ: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সামুদ্রিক মাছ খেলেও এই সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে ইলিশ, পমপ্লেট খেলেও কিন্তু সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এমনকী ক্যানবন্দি বিদেশি সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা খেলেও সমস্যা হতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা প্রতিটি মানুষকে এ ব্যাপারে সাবধান হতে হবে।
দানা থাকা সবজি: বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে বিভিন্ন দানা জাতীয় সবজি যেমন ঢ্যাঁড়শ, টমেটো থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এই দানা খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া বিনস জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
সয়াবিন : সয়াবিন হল হাই প্রোটিন খাবার। এই খাবার থেকে মানুষের শরীরে প্রোটিন পৌঁছায়। সয়াবিন অত্যন্ত ভালো একটি খাবার। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই খাবার থেকে সমস্যা হয়। যেমন -ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে এই খাবার নিয়ে অত্যন্ত সচেতন হয়ে যেতে হয়। তবেই ভালো থাকা সম্ভব হবে।
এছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।