উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার প্রধান লক্ষণ কি? জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার ১৪০ এর বেশি বা ডায়াস্টোলিক ৯০ এর বেশি হলে একে উচ্চ রক্তচাপ বলে। অতিরিক্ত ওজন, স্ট্রেস, অতিরিক্ত ডায়েট ইত্যাদি হল উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

উচ্চ রক্তচাপের অনেক সময় প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়না। উচ্চ রক্তচাপ শরীরে মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু রক্তচাপ প্রাথমিক অবস্থায় থাকলে ঘরোয়া কিছু বিষয় মেনে চললে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর এমন পাঁচটি উপায় দেখে নিন:-

১) বাড়তি ওজন ঝড়ানো:- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে অবশ্যই বাড়তি ওজন কমাতে হবে। অতিরিক্ত ওজন হৃদপিন্ডের ওপর চাপ ফেলে, যার জন্য রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।

২) নিয়মিত ব্যায়াম:- প্রতিদিন অন্তত কমপক্ষে ত্রিশ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি রক্তচাপ কমাতে। ব্যায়াম করার সময় হৃদপিন্ড শক্ত হয় যার জেরে পাম্প করতে চাপ অনেক কম লাগে। এটি ফলে আর্টারি প্রেশার কমিয়ে রক্তচাপ কমায়।

৩) ধূমপান:- উচ্চ রক্তচাপ হবার জন্য ধূমপান একটি মূল কারণ। রক্তচাপ কমানোর জন্য ধূমপান ত্যাগ অত্যন্ত জরুরি। তামাকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তনালীর দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

৪) লবণ কম খান:- অনেকের অভ্যেস থাকে ভাত বা বিভিন্ন খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া। বেশি লবণ খেলে রক্তের মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে তর তরিয়ে বাড়তে থাকে রক্তচাপ। তাই কাঁচা লবণ খাওয়া ছেড়ে দিলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

৫) চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া ছেড়ে দিন:- সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার যেমন, খাসি মাংস, মাখন, ঘি, গরুর মাংস উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে এইসব চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া ছেড়ে দিন। এর পরিবর্তে সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল এগুলো খান।