আপনার সঙ্গী সবসময় আপনাকে অসম্মান করে? তাহলে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন

আপনার সঙ্গী আপনাকে অসম্মান করে কি না তা বুঝতে পারা কঠিন নয়। যে যথেষ্ট সৎ নয়, সঙ্গীর সঙ্গে সব সময় চিৎকার করে, তার প্রতি প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয় না তাকে সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই ধরনের স্পষ্ট অসম্মান শুধুমাত্র ক্ষতিকারকই নয়, সেইসঙ্গে সঙ্গীর জন্য চাপ এবং উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তির সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য, কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে-

আপনার চাহিদা উপেক্ষা করে

আপনার সঙ্গী যদি একবারও আপনার কথা না শুনে আপনার চাহিদাগুলোকে উপেক্ষা করে, তবে এটি হতে পারে একটি প্রধান সংকেত। সে যদি আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে, আপনি যেমন তার যত্ন নেন তেমনি সেও যত্ন নেয় তবে সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কিন্তু আপনার চাহিদাগুলো বরাবরই উপেক্ষা করে গেলে সতর্ক হোন।

আপনাকে অন্যদের সাথে তুলনা করলে

অন্যদের সাথে তুলনা করলে তা আপনাকে আরও ভালো হতে এবং দ্রুত আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে উত্সাহিত করতে পারে। এটি যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছায় তবে তা হতে পারে ক্ষতির কারণ। এটি আপনাকে নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং আপনাকে নিজের সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলতে পারে। যদি আপনার সঙ্গী ক্রমাগত আপনাকে অন্যদের সাথে তুলনা করে, তাহলে আপনি তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন।

অতিরিক্ত দাবি করে

আপনার সঙ্গীর খুব বেশি দাবি করা উচিত নয় কারণ সেগুলো পূরণ করতে গিয়ে আপনার মধ্যে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। একজন শুধু দিয়ে গেলে এবং আরেকজন নিয়েই গেলে, সেই সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হতে বাধ্য। তাই সঙ্গীর দাবি যদি অতিরিক্ত হয় বা আপনার ওপর বোঝা হিসেবে চাপিয়ে দেয়, তবে সতর্ক হোন।

কোনো আপস না করলে

এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে থাকা কঠিন যে কোনো বিষয়ে আপস করতে পারে না। যদি আপনার সঙ্গী কখনোই আপনার পছন্দমতো কাজ করতে না চায়, তাহলে তার মানে সে সামান্য হলেও আপস করতে প্রস্তুত নয়। সঙ্গীর এমন আচরণ হতে পারে আপনার জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা।

অগ্রাধিকার না দেওয়া

একজন সঙ্গীর উচিত তার জীবনের অন্য সব দিকের তুলনায় তার সঙ্গীকে অগ্রাধিকার দেওয়া। যদি আপনার সঙ্গী তা না করে, তাহলে তিনি স্পষ্টতই সঙ্গী হিসেবে আপনার অবস্থানকে অসম্মান করছে।

আপনার ওপর আধিপত্য বিস্তার করলে

এটি একটি প্রধান সংকেত। সঙ্গী যদি সবকিছুতে আপনার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে তবে সতর্ক হোন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরস্পরের পছন্দকে সম্মান করা উচিত। নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন এবং আপনার সঙ্গীকে বারবার আপনার ওপর কর্তৃত্ব করতে দেবেন না।