প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে করুন এই কাজ, তারপর দেখবেন চমক

সুস্থতার চাবিকাঠি হল ঘুম। অত্যাধিক কাজের চাপ, মানসিক টেনশনে থেকে স্ট্রেসের কারণেই ঘুমের সমস্যা হচ্ছে বেশিরবভাগ মানুষের। ঘুমোতে কে না ভালবাসে। কিন্তু বর্তমানে কাজের চাপে তা যেন শিকেয় উঠেছে। কিন্তু ঠিকমতো না ঘুমোলেও শরীর ও মন কোনওটাই ভাল থাকে না। সম্প্রতি, গবেষণায় এমন এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে। সমীক্ষায় জানা গেছে, ঘামের গন্ধেই নাকি ঘুম গাঢ় হয়, তেমনই বাড়ে মিলনের ইচ্ছা। জানুন বিশদে।

বর্তমানে বেশিরভাগ দম্পতিরাই কোনও না কোনও চাকরি বা কাজ করেন। আর যারা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তাদের কাজের সময় এতটাই বেশি যে ঘুমের সময়টাই সবথেকে কম। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি হল একসঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া। সারাদিন হাজারো কাজের পর ঘুমানোটা যেন একসঙ্গে হয়। ১৫০ জন দম্পতিদের নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, পার্টনারের গায়ের ঘামের গন্ধে আমাদের মন ভাল হয়ে যায়। এতে ঘুম খুব ভাল ও গাঢ় হয়। সমীক্ষাটিতে, একটানা একটি টি-শার্ট সাতদিন পরে ঘুমোতে হয়েছিল, আর অন্যদিকে পরিস্কার টি-শার্ট পরেও সাতদিন ঘুমোতে বলা হয়েছিল।তাতে দেখা গিয়েছিল ঘামের গন্ধযুক্ত টি-শার্টতে ঘুম অনেকেরই গাঢ় হয়েছে। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, শরীরের সঙ্গে প্রেম ও গন্ধ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আর পার্টনারের গায়ের ঘামের গন্ধ সেক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতোন কাজ করে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সারারাত ঘুমোলে সম্পর্কের বন্ধন নাকি অনেকবেশি দৃঢ় হয়। আর তাতেই নাকি অবলীলায় কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে বছরের পর বছর। বর্তমানে অনেক সংস্থা এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। যার ফলে দিনের পুরোটাই অফিসের সঙ্গে কেটে যাচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ ক্রমশ কমছে কাজের চাপে। দিনের সিংহভাগ সময়ই গ্রাস করে নিচ্ছে অফিস। তার উপর মিটিং,কাজের চাপ এসব তো রয়েইছে। আর সেই কারণেই বেশিরভাগ কর্মরত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরছে অনায়াসেই। সুস্থ দাম্পত্যের সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে আজ থেকেই সাবধান হোন। হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝেও দিনের কিছুটা সময় নিজেদের জন্য বের করে নিন। অফিসের কাজ বাড়িতে বসে করার ফাঁকেও একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। কাজ হয়ে গেলে দুজনে একসঙ্গে একটু বিশ্রাম নিন। ঘরের লাইট বন্ধ করে যে কোনও হালকা সুগন্ধী স্প্রে করে দুজনে একটু সময় কাটান। এতেও সম্পর্ক ভাল থাকে। নিজেদের একান্ত সময়ে স্মার্টফোন বন্ধকরে রাখুন। আর যদি পারেন তাহলে শোবার ঘরে মোবাইল নিয়ে ঢোকাও আজ থেকে বন্ধ করে দিন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ঝামেলা হবে না তা প্রায় আসাম্ভব। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঝগড়া হলে তা মিটিয়ে নিন রাতেই।