এই ঘরোয়া উপায়গুলি সকলের জানা জরুরি, কী বলছে গবেষণা জেনেনিন

আপনি কি তাদের মধ্যে একজন যারা কোথাও ব্যথা অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খেয়ে নেয়? যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে এই অভ্যাস থেকে সরে আসুন। এর পরিবর্তে আপনার রান্নাঘরে যান। ভাবছেন ব্যথার সঙ্গে আবার রান্নাঘরের কী সম্পর্ক? আসলে আমাদের রান্নাঘরে এমন অনেক প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যেগুলো ব্যবহার করে অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন সমস্যায় কোন ঘরোয়া উপায় বেছে নেবেন-

পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে

পিরিয়ডের সময় ব্যথা হয় না এমন সৌভাগ্যবতী নারী খুব কমই আছেন। বেশিরভাগ নারীই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। এই ব্যথা দূর করতে সাহায্য করতে পারে আপনার রান্নাঘরে থাকা লেবু। কীভাবে? পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে নিন ঠান্ডা জলের সঙ্গে। এবার সেই জল একটু একটু করে পান করুন। এতে দ্রুতই পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা দূর করতে

অনেকেরই এই সমস্যা আছে। একটানা মাথাব্যথা থাকে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথাব্যথা বেশি অনুভূত হয়। এক্ষেত্রে আপনি একটি আপেলের খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করে নিন। এর উপরে সামান্য লবণ ছিটিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এটি খান। এভাবে নিয়মিত খেলে মাথাব্যথা দূর হবে।

পেট ফাঁপা দূর করতে

পেট ফাঁপার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। বিশেষ করে কিছু খাবার খাওয়ার পর পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দূর করার ঘরোয়া একটি উপায় হলো বেকিং সোডার ব্যবহার। এক গ্লাস জলে এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং সোডা গুলিয়ে নিন। এটি পান করলে সমস্যা দূর হবে।

গলা ব্যথা দূর করতে

গলা ব্যথা অনেক পরিচিত একটি সমস্যা। অনেককেই এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগার কারণে হতে পারে গলা ব্যথা। এটি দূর করার জন্য ২-৩টি তুলসি পাতা জলে হালকা আঁচে ফুটিয়ে নিন। যতক্ষণ না পাতার রস বের হয়ে আসে ততক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এবার এই তরল দিয়ে গার্গল করে নিতে পারেন।

মুখে ঘা দূর করতে

মুখে ঘা হলে তা সাধারণ বলে মনে হয় ঠিকই কিন্তু এটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক। বিশেষ করে কিছু খেতে গেলেই বাধে বিপত্তি। এই সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন। পাকা কলা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়। এটি এক ধরনের পেস্টের মতো তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহারও করা যেতে পারে।

সাইনাস

সাইনাসের সমস্যা দূরে রাখতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। তার মধ্যে একটি হলো আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার। আধা কাপেরও কম গরম জলে পরিমাণমতো আপেল সাইডার ভিনেগার ও এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি দিনে দুইবার পান করুন। পান করার সময় এটি যেন গরম থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মুশকিল। কারণ এটি আরও অনেক অসুখ ডেকে আনতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দুধের সঙ্গে আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনাকে খেতে হবে সকালে খালি পেটে।