প্রস্রাবের নানা সমস্যায় ভোগেন কমবেশি সবাই। এই যেমন ধরুন পানি কম পান করলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। আবার সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে এ সমস্যা সেরে যায়। তবে প্রস্রাবের রং, ধরন আমাদের শরীরের বেশ কিছু সমস্যার কথা জানান দিতে পারে। যেমন অনেকের প্রস্রাবে ফেনা হয়।
প্রস্রাবে ফেনার কারণ কী?
অনেকের অল্প প্রস্রাব হলেও ফেনা হয় তাতে। প্রাথমিকভাবে বেশিরভাগ মানুষই এটি খেয়াল করেন না। কেউ কেউ মনে করেন, প্রস্রাবের বেগ ও উপাদানের কারণে এতে ফেনা হচ্ছে।
এছাড়াও একটি কারণে ফেনা দেখা দিতে পারে প্রস্রাবে। তা হলো প্রোটিন। প্রোটিনের পরিমাণ প্রস্রাবে বেড়ে গেলে ফেনা হয়। সমস্যা এখানেই থমকে নেই। সাধারণত প্রোটিন কিডনি পরিশ্রুত করে না।
রক্তের প্রোটিন রক্তেই থাকে। যখন কিডনি প্রোটিন পরিশ্রুত করে, তখন তা মূত্র দিয়ে বেরিয়ে আসে। প্রোটিনিউরিয়া রোগের কারণে এটি হয়। আর প্রোটিনিউরিয়ার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ক্রনিক কিডনি রোগ।
প্রস্রাব দিয়ে কেন প্রোটিন বের হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোটিন রক্তের মধ্যে থেকে বের হতে বাধা দেয় গ্লোমেরুলি। এগুলো খুব সূক্ষ রক্তজালিকা। এর মধ্যে রক্তচাপ বেশি হয়। যা সাধারণ অবস্থায় প্রোটিনকে মূত্রে আসার থেকে আটকে দেয়।
তবে গ্লোমেরুলি নষ্ট হয়ে গেলে প্রোটিন আর আটকে রাখতে পারে না কিডনি। ফলে পরিশ্রুত হয়ে বেরিয়ে যায়। তাই মূত্রে প্রোটিন দেখা দেয়। যা প্রোটিনিউরিয়া।
প্রোটিনিউরিয়া কি সারে?
এখনও পর্যন্ত প্রোটিনিউরিয়া সারানোর কোনো ওষুধ নেই। অর্থাৎ একবার এই সমস্যা হলে আগের অবস্থায় কিডনিকে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। তবে জীবনযাপনে কিছু বদল আনলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে বেশি প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রথমেই প্রোটিন খাওয়া কমাতে হবে। রিফাইনড সুগার ও আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার আছে এমন খাবার খাওয়া যাবে না।
এ ধরনের কিডনির ক্ষতির বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া প্রসেসড খাবারও বাদ রাখতে হবে পাত থেকে। এর মধ্যে রয়েছে বার্গার, পিৎজা ইত্যাদি।