দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখা যে কারণে বিপজ্জনক

কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই প্রস্রাবের সংক্রমণ বা ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। এর সঠিক চিকিৎসা করা না হলে কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মূত্রনালিতে উপস্থিত কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে দীর্ঘক্ষণ মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটায়।

যা পরবর্তী সময়ে সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, এই অভ্যাসের কারণে শরীরে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন কী কী-

>> মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে সব বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ মূত্রত্যাগ না করলে এ ধরনের বর্জ্যপদার্থ দেহের ভেতরেই জমতে শুরু করে। কিডনির ভেতরে যখন বর্জ্য পদার্থ জমে কঠিন হয়ে যায়, তখনই তাকে কিডনির পাথর বলা হয়।

কিডনিতে পাথর তৈরি হলে তা থেকে ব্যথা, সংক্রমণ কিংবা রক্তপাতের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাথরগুলি খুব বড় হয়ে গেলে অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারও করতে হতে পারে।

>> প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলে মূত্রাশয় আকারে বেড়ে যেতে পারে। সাধারণত যখন মূত্রাশয় পূর্ণ থাকে তখন এটি প্রসারিত হয়, আবার মূত্র ত্যাগ করলে সেটি আবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় আর নিজের আকারে ফিরতে পারে না, আকারে বেড়ে যায়।

>> এই অভ্যাসের কারণে যৌনাঙ্গ বা পেলভিক ফ্লোরের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ভবিষ্যতে প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। হাঁচি, কাশির সময় অজান্তেই প্রস্রাব বের হয়ে যেতে পারে। আবার মূত্রত্যাগের প্রবণতাও বাড়ে।

>> দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রাশয় ফেটে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই কিডনি ভালো রাখতে যেমন পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি তেমনই প্রয়োজন, ঠিক তেমনই সময়মতো মল-মূত্র ত্যাগ করা উচিত সবারই। কখনো মল-মূত্র আটকে রেখে বিপদ ডেকে আনবেন না।