ব্রেইন স্ট্রোকের প্রাথমিক ৭ লক্ষণ এড়িয়ে গেলেই বিপদ

শরীরের কোনো স্থানে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে না পারলে ওই অংশের কোষগুলো প্রাণ হারাতে শুরু করে। মাথাতেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। আর তখনই ঘটে স্ট্রোকের ঘটনা। মাথার রক্তনালিতে কোনো কারণে রক্ত জমাট বাঁধলে কিংবা কোলেস্টেরল জমলে ওই অংশে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করে না।

তখন মস্তিষ্কের ওই অংশের কোষ মারা যায়। এ কারণে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। এই অবস্থার নামই হলো ব্রেইন স্ট্রোক। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

স্ট্রোকের প্রাথমিক অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা না হলে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। স্ট্রোকে মৃত্যুঝুঁকির পাশাপাশি পঙ্গুত্বের ঝুঁকিও অনেক। তাই স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাওয়া বিপজ্জনক। আপনার যদি এসব লক্ষণ জানা থাকে তাহলে নিজের এমনকি অন্যের প্রাণও বাঁচাতে পারবেন।

স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?

>> মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা
>> একটা জিনিসকে দুটি করে দেখা
>> বমি হওয়া কিংবা বমি বমি ভাব
>> শরীরের যে কোনো পাশে অবশভাব
>> কথা আটকে যাওয়া
>> মুখ একদিকে ঘুরে যাওয়া
>> হাত-পায়ের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য না থাকা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।

অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে, স্ট্রোকের আগেও মিনি স্ট্রোক হয়। যার নাম হলো টিআইএ (ট্রান্সায়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক’। মস্তিষ্কের অংশে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাতের কারণে এটি ঘটে। রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাতের ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছায় না।

মিনি স্ট্রোকের ক্ষেত্রে উপরের সবগুলো লক্ষণই দেখা দেয়। তবে লক্ষণ স্থায়ী হয় কিছুটা কম সময়ের জন্য। টিআইএ হলো স্ট্রোকের প্রাথমিক অবস্থা। এ সময় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিলে রোগী প্রাণে বেঁচে যেতে পারেন। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি?

উচ্চ রক্তচাপ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। কারণ উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যেই স্ট্রোকের হার সবচেয়ে বেশি। এমনকি হাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ থাকলেও সতর্ক হয়ে যেতে হবে। কারণ এসব সমস্যাও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।

কারও মধ্যে স্ট্রোকের লক্ষণ দেখলেই দ্রুত হাসপাতাপলে নিয়ে যেতে হবে। যত দ্রুত চিকিৎসা করা হবে তত রোগীর ভালো হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে। তাই নিজে সতর্ক থাকুন ও অন্যকেও নিরাপদে রাখুন।