হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

গরমকালে নানা কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। আবার অ্যাজমার কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যেমন ধরুন, মুখের ভেতরে বেশ কিছু রোগ ঘটায় অ্যাজমা।

এর মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে ব্যাকটেরিয়ার সমস্যা, অন্যদিকে আছে দাঁতের ক্ষয়। মুখের কী কী সমস্যা হতে পারে অ্যাজমা থেকে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

মুখে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে

মুখের মধ্য়ে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে অ্যাজমার কারণে। কারণ অ্যাজমাতে শ্বাসনালিপথ ছোট হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ফলে শ্বাসনালি শুকিয়ে যায়। একই সঙ্গে শুকিয়ে যায় মুখও। তাই অ্যাজমা থেকে মুখের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়।

দাঁতের ক্ষয়

অ্যাজমার কারণে মুখে স্যালাইভা অর্থাৎ লালার ক্ষরণ কমে যায়। এর জরে দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বাসা বাঁধে। যা থেকে দাঁত ক্ষয়ে যেতে পারে।

ইনহেলার থেকে সমস্যা

ঘন ঘন ইনহেলার ব্যবহার করেন অ্যাজমা রোগীরা। এর মধ্যে কর্টিকোস্টেরয়েড থাকে। এই স্টেরয়েডটি মুখের মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কর্টিকোস্টেরয়েডের কারণে স্যালাইভা অর্থাৎ লালার উৎপাদন কমে যায়। যার ফলেও ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে শুরু করে।

মাড়ির সমস্যা

জীবাণুর কারণে দাঁতের পাশাপাশি মাড়ির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দাঁতের যত্ন না নিলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

শ্বাসের দুর্গন্ধ

জীবাণুর কারণেই শ্বাসে দুর্গন্ধ হতে থাকে। এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মুখের সমস্যা প্রতিরোধের উপায় কী?

মুখের দুর্গন্ধ থেকে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয় আটকাতে হলে অ্যাজমা রোগীদের বেশ কিছু পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সমস্যা নির্মূল করতে না পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

অ্যাজমার ওষুধ ঠিকমতো খাওয়া ও ইনহেলার নেওয়াই প্রথম ধাপ। কারণ এগুলো করলে অ্যাজমার সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ফলে মুখের সমস্যাও ততটা ভোগায় না।

এছাড়া মুখের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। দিনে দু’বার দাঁত ব্রাশ, মুখ ধোওয়া, জিভ পরিষ্কার করতে হবে। ইনহেলার ব্যবহার করার পর মুখ নিয়ম করে ধুতে হবে। এতে কর্টিকোস্টেরয়েড থেকে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।