ওটস চাষে এগিয়ে আছে রাশিয়া, কানাডা ও পোল্যান্ড। স্বাস্থ্য রক্ষায় ওটসের অজস্র গুণাগুণের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর গণ্ডি ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ও আশপাশের এশিয়ান অঞ্চলগুলোতেও বাড়ছে এটির খাওয়ার হার। চলুন জেনে নিই ওটসের উপকারিতাগুলো–
ওজন কমায়
ওটসে বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর আমরা যদি সকালে ওটস খেতে পারি তাহলে সারা দিন আর ভারী খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কেননা, ওটসের কারণে পেট ভর্তি থাকে। এ ছাড়া নিয়মিত ওটস খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তাই আপনি যদি পুষ্টি ঠিক রেখে ওজন কমাতে চান নিয়মিত ওটস খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
ওটসে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপকে কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে আমাদের রোগ প্রতিরোগক্ষমতাও বাড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
অনেকেই কনস্টিপেশন সমস্যায় ভোগেন। এটি হওয়ার কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এ ছাড়া সঠিক সময় এবং সঠিক খাবার না খাওয়া। তবে ভালো উপায় হচ্ছে আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে প্রতিদিন ওটমিল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
ওটস খারাপ (এলডিএল) কোলেস্টরলকে (LDL cholesterol) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে আমাদের হৃদ্রোগের শঙ্কাও অনেক কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওটস ওজন কম করার সাথে সাথে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ওটসের ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ওটস খাওয়া অত্যন্ত লাভদায়ক।