রক্তে কোলেস্টলের মাত্রা বাড়ার ভয়? এই উপায়ে করুন চিকিৎসা

কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তবে কোনও কিছুই শরীরে বেশি থাকা ভালো নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে বড় ধরণের সমস্যা। তাই প্রতিটি মানুষকেই কোলেস্টেরল নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

কোলেস্টেরল হল রক্তে থাকা মোম জাতীয় পদার্থ। সাধারণত দুই ধরনের কোলেস্টেরল হয়- এলডিএল ও এইচডিএল। এইচডিএল হল ভালো কোলেস্টেরল অপরদিকে রয়েছে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল।

এলডিএল রক্তে বেশি থাকলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। এটি রক্তনালীর মধ্যে জমে, ফলে রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো হয় না। আর এই কারণে দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে স্ট্রোকের মতো ঘাতক রোগ। তাই প্রতিটি মানুষকে কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।

কোলেস্টেরল সমস্যার সমাধান দিতে পারে কিছু ভেষজ খাবার। চলুন জেনে আসা যাক..

> আমলকী যে কোনও ফলের মধ্যে অন্যতম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। এই ফলে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এদিকে এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

> প্রায় প্রতিটি রান্নায়ই ব্যবহার হয় জিরা। এই মশলা স্বাদের জন্যই মূলত এই ব্যবহার হয়। তবে এই মশলা কিন্তু শরীরের নানা উন্নতিতেও কাজ করতে পারে। খাওয়ার পর কাঁচা জিরা খাওয়া ভালো। এছাড়া আপনি পাওডার করেও এটি খেতে পারেন। চায়ের সঙ্গেও জিরা মিশিয়ে খাওয়া যায়।

​> বাঙালি রান্না ঘরে রসুনের উপস্থিতি সবসময় রয়েছে। এই বিশেষ মশলা মাছ, মাংস সহ বহু রান্নায় ব্যবহার হয়। মূলত রান্নায় গন্ধ যোগ করতেই এই মশলা ব্যবহার হয়। পাশাপাশি রসুনের স্বাদও অনন্য। তবে এসব বাদ দিলেও এই ভেষজের রয়েছে অনন্য গুণ। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে। এমনকী রসুন কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

> লেবুর মধ্যে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া লেবুর মধ্যে থাকা নানা উপকারী উপাদান কোলেস্টেরলের মুক্তিতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে পাতিলেবু, কমলালেবু বা যেই লেবু পাবেন তাই খান। তবেই সমস্যা দূর হবে।

> হাতের কাছে থাকা আরও এক ভেষজ হল আদা। নানা রান্নায় এই মশলা ব্যবহার করা হয়। আদার মধ্যে থাকা নানা উপকারী উপাদান পারে কোলেস্টেরল দূর করতে। এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। ফলে রক্ত জমাটে বাধা দেয় আদা। এক্ষেত্রে আদা সাধারণভাবে খাওয়ার পাশাপাশি চায়ে এবং রান্নাতেও খেতে পারেন।

> অর্জুন হৃৎপিণ্ডের জন্য দারুণ একটি ভেষজ। এই গাছের ছাল আপনি দুধে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এছাড়া অর্জুনের চা শোয়ার আগে পান করা যায়। অন্যদিকে সকালেও আপনি খেতে পারেন এই ছাল।

> আমলকী, হরিতকী ও বহেরা মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলা। বহু রোগের চিকিৎসায় এই ত্রিফলা ব্যবহার করা হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খেতে পারেন ত্রিফলা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই ত্রিফলা খেতে হবে। কিন্তু ত্রিফলা নিজের বুদ্ধিতে খেতে যাবেন না। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ত্রিফলা খান।