শরীরের বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্য তালিকা বদলাতে হয় অনেকের। অনেকে ভাতের বিকল্প অন্য কিছু খেয়ে থাকেন। ভাত আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির মূল স্তম্ভ। তাই চাইলেই ভাতের বিকল্প রুটি বা অন্য কিছু খেয়ে সেই তৃপ্তি পাওয়া যায় না। ভাত খেয়েই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে সেটা কি লাল চালের ভাত, নাকি সাদা চালের ভাত?
লাল চাল ভালো হওয়ার কারণ : লাল চালের সুবিধা হচ্ছে এতে আঁশ বেশি থাকে। যেকোনো খাবারে আঁশ থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কোলেস্টেরল কম থাকে। হজমে সহায়তা করে। ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে অন্ত্রের কোষের সংস্পর্শে দীর্ঘক্ষণ থাকতে দেয় না।
এছাড়া লাল চাল সেলেনিয়ামের জন্য খুবই ভালো উৎস। এই খনিজ দ্রব্যের সামান্য পরিমাণও অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা পালন করে। এ চালে ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রভৃতি খনিজ পদার্থ বেশি মাত্রায় থাকে। এসব উপাদান শরীরের জন্য খুবই দরকারি। চাল সাদা করার প্রক্রিয়ায় চালের এসব উপাদান অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। আঁশও কমে যায়। এসব দিক বিবেচনা করলে অবশ্যই সাদা চালের থেকে লাল চাল ভালো।
লাল চাল লাল হওয়ার কারণ : অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে লাল চালে। যারা অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য সাদা চালের থেকে লাল চাল ভালো। এক্ষেত্রে তিন বেলা প্লেট ভরে লাল চালের ভাত খেলে হবে না। কাপে মেপে অল্প করে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে পরিমাণ সাদা ভাত খাওয়া উচিত, সেই পরিমাণে লাল চালের ভাত খেতে পারেন। তবে লাল চালে সামান্য ক্ষতিকর ফাইটিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি আয়রন ও ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। এ কারণে লাল চালের ভাত খাওয়ার সময় বেশি আয়রন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।