বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইলে সহজ কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললেই মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা কমে। তার সঙ্গে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাও সম্ভব হয়।
বর্তমান যুগে মহিলারা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত কাজই করছেন। আবার এমন অনেক কাজ রয়েছে, যাতে বেশি পারদর্শী মহিলারাই। অফিসের কাজ সামলানো থেকে সংসার সামলানো, সমস্ত কাজই একাহাতে দক্ষতার সঙ্গে করে চলেছেন। কিন্তু এভাবেই একাধিক কাজ সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকেই নজর দেওয়ার সময় পান না মহিলারা। শরীরের দিকে নজর না দিতে পারার ফলে চোখ এড়িয়ে যায় এমন অনেক অসুখ, যা পরবর্তীকালে স্বাস্থ্যের উপর নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে বহুক্ষেত্রেই অল্প বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বহু নারী। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইলে সহজ কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললেই মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা কমে। তার সঙ্গে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাও সম্ভব হয়।
মহিলাদের বেশি দিন বাঁচার উপায়-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি যে বিষয়টায় অবহেলা করতে দেখা যায়, তা হল শরীরচর্চা। হাজারো কাজের ব্যস্ততার মাঝে নিজের জন্য সামান্য সময়টুকুও বের করতে পারেন না। আর শরীরচর্চা না করার ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা অসুখ। চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে অনেক অসুখ দূরে থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে অযাচিত মেদ জমতে পারে না। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও বজায় থাকে। তাই যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক না কেন, তারইমাঝে নিজের জন্য সামান্য সময় বের করে রোজ করতে হবে শরীরচর্চা।
২. শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি যদি শরীর না পায়, তাহলে দেখা দিতে পারে ঘাটতি। যার ফলে শরীরে আক্রমণ করতে পারে নানা রোগ। প্রতিদিন নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
৩. নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড পরীক্ষা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সময়ে সময়ে নানা টেস্ট করিয়ে নেওয়াও জরুরি। অনেক সময়ই আমাদের নজর এড়িয়ে যায় বহু অসুখ। কিন্তু পরীক্ষা করার সময়ে ধরা পড়ে।
৪. সুস্থ থাকতে এবং বেশিদিন বাঁচতে অবশ্যই ত্যাগ করা প্রয়োজন ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস।
৫. মহিলাদের ক্ষেত্রে গাইনোকলজিকাল নানা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বহু মহিলাই লজ্জায় পরীক্ষা করাতে চান না। কিন্তু এই সমস্যার প্রাণহানির কারণ হতে পারে। তাই সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।