পেট খারাপে রসোগোল্লা খাওয়ার উপকারিতা, যা জানা নেই আপনারও

পেট খারাপ একটি সাধারণ সমস্যা যা বছরে এক-আধবার হলেও প্রত্যেকেরই হয়। এই সমস্যায় পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। পেট খারাপের সময় অনেকেই গরম রসোগোল্লা খেয়ে থাকেন। তবে এই ধারণার পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি রয়েছে কিনা তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা প্রকাশ করেন।

রসোগোল্লায় প্রোবায়োটিক রয়েছে

কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, রসোগোল্লা ছানা দিয়ে তৈরি হয়। আর ছানায় প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। প্রোবায়োটিক আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমিয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পেট খারাপের সময় রসোগোল্লা খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে

পেট খারাপের সময় অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে পেট খারাপের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই সময় রসোগোল্লা খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। ফলে পেট খারাপের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

রসোগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে

রসোগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। সুগার শরীরে শক্তির উৎস। পেট খারাপের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় রসোগোল্লা খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয়। ফলে শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে।

রসোগোল্লায় ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম থাকে

রসোগোল্লায় ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম থাকে। এই দুটি উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেট খারাপের সময় রসোগোল্লা খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রসোগোল্লা খাওয়ার নিয়ম

পেট খারাপের সময় রসোগোল্লা খেতে হলে গরম এবং তাজা রসোগোল্লা খেতে হবে। বাসি রসোগোল্লা খেলে উপকার পাওয়া যাবে না।

ডায়াবেটিস এবং ওজন বেশি থাকলে রসোগোল্লা খাওয়া এড়িয়ে চলুন

ডায়াবেটিস এবং ওজন বেশি থাকলে রসোগোল্লা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ রসোগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। সুগার ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা বাড়াতে পারে। আবার ওজন বেশি থাকলে রসোগোল্লা খেলে ওজন আরও বাড়তে পারে।

পেট খারাপের সমস্যা খুব বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

পেট খারাপের সমস্যা খুব বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

পেট খারাপের সময় রসোগোল্লা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গরম এবং তাজা রসোগোল্লা খেতে হবে। ডায়াবেটিস এবং ওজন বেশি থাকলে রসোগোল্লা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। পেট খারাপের সমস্যা খুব বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।