চুলের বিভিন্ন সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষ করে দূষণে চুল রুক্ষ-শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যাওয়া কিংবা অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা এখন সবারই দুশ্চিন্তার কারণ!
আবার নিয়মিত চুলের যত্ন না নেওয়ার কারণেও চুলের নানাবিধ সমস্যা বাড়তে পারে। সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে তেল দেওয়া, ২-৩ দিন পরপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা না হলে চুল হয়ে পড়ে অনেকটাই নিস্তেজ।
যাদের চুল নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ, তাদের উচিত নিয়মিত চুল কন্ডিশনিং করা। এতে চুলের রুক্ষভাব সহজেই দূর হবে, আর চুল আরও ঝলমলে হয়ে উঠবে। কন্ডিশনিং এমন একটি পদ্ধতি যা আপনার চুলকে মসৃণ, চকচকে ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে!
ঘরেই যেভাবে তৈরি করবেন কন্ডিশনার
একটি খোসা ছাড়ানো কলা, ৩ টেবিল চামচ মধু, ৩ টেবিল চামচ দুধ, ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান ও আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। চুল ধোয়ার জন্য ঠান্ডা জল ও হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
ভিনেগার ও ডিমের কন্ডিশনার
২-৩টি ডিম, এক টেবিল চামচ ভিনেগার, ২ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলের ডগায় লাগান ও ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল, দই ও মধুর কন্ডিশনার
এজন্য ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ দই ও ১ চা চামচ গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পু করা চুলে ব্যবহার করুন। এরপর ২০-২৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন চুল।
টকদইয়ের কন্ডিশনার
৬ টেবিল চামচ টকদই ও একটি ফেটানো ডিম একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। একটি নরম তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
আপেল সিডার ভিনেগারের কন্ডিশনার
২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, ১ টেবিল চামচ মধু ও ২ কাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। শ্যাম্পু করা চুলে এই মাস্ক ব্যবহার করুন। তবে ভুলেও এটি মাথার ত্বকে লাগাবেন না। ১৫-৩০ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার কন্ডিশনার
৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার শ্যাম্পু করা চুলে লাগান ও হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী উপরে উল্লিখিত উপাদানগুলো বাড়াতে বা কমিয়ে ব্যবহার করতে পারেন