আমাদের জীবনযাপনের অনিয়মের কারণে প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হয়। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এই সমস্যা দেখা দিলে মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে। কারণ পেট পরিষ্কার না হলে তার প্রভাব মনেও পড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যদি একটানা চলতে থাকে তবে সতর্ক হোন। কারণ এটি মোটেও ভালো কোনো লক্ষণ নয়। এই সমস্যা থেকেই হতে পারে পাইলস, ক্যান্সারের মতো মারাত্মক অসুখ। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, রেড মিট, অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া এবং ফাইবারযুক্ত খাবার কম খাওয়া হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে খাবার ঠিকভাবে হজম হতে চায় না। যে কারণে মলত্যাগ করতে সমস্যা হয়। পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফেঁপে থাকার মতো সমস্যা লেগে থাকে। অন্ত্রের উপর দীর্ঘদিন ধরে চাপ পড়তে থাকলে বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা, ক্লান্তি এসব সমস্যাও বাড়তে থাকে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খাবেন। সেইসঙ্গে এড়িয়ে চলবেন এই তিন খাবার-
টক দই
টক দই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এ বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই। এটি মুখের রুচি বাড়াতেও কাজ করে। কিন্তু এই টক দই হতে পারে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ। যখন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেবে, তার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত টক দই খাবেন না। শুধু টক দই না, এসময় মিষ্টি দইও খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সবচেয়ে ভালো হয় এসময় দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ রাখলে। কারণ এতে বদ হজম আরো বাড়তে পারে।
জিরা
জিরা একটি উপকারী মশলা। এটি বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। জিরা ক্ষুধা কমাতে ও ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়ও সমাধান করে জিরা। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য হলে জিরা খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে।
কফি
দিনে অন্তত এককাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এটি ক্ষতিকর নয়। কারণ আমাদের ক্লান্তি কাটিয়ে ফের চাঙ্গা করে তুলতে কাজ করে কফি। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত কফি পান করেন, তাহলে সেটি বাড়িয়ে তুলতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। সেইসঙ্গে হতে পারে ডিহাইড্রেশন। তাই অতিরিক্ত কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।