কাঁচা কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবে এবং কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবে না, সেটা সকলের জানা।
কেউ নিশ্চয় কাঁচা মাংস কিংবা কাঁচা ডিম খেতে চাইবেন না। তবে রান্না ব্যতীত কাঠবাদাম কাঁচা খেতেই ভালোবাসেন অনেকে। কাঁচা কাঠবাদাম খাওয়া যাবে কিনা জানেন কি? ঠিক একইভাবে কাঁচা দুধ কিংবা সসেজ খাওয়া কতটা নিরপদ, সে সম্পর্কে ধারণা নেই অনেকের। এমনই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।
আলু
অনেক ধরণের সবজীই কাঁচা কিংবা আধা সিদ্ধ খাওয়া যায়। তবে ভুলেও আলু কাঁচা খাওয়ার কথা ভাববেন না। আলুতে থাকা শর্করা সহজে হজম হতে চায় না, এমনটাই জানিয়েছেন টেরা’স কিচেনের চিফ নিউট্রিশনিস্ট ডঃ লিসা ডেভিস। আরও ভয়াবহ কথা হলো, কাঁচা আলু বদ্ধ ও ভ্যাপসা কোন স্থানে রেখে দেওয়া হয়, তবে আলুতে সবুজ রঙে বিষাক্ত একটি পদার্থের জন্ম হয়। যার নাম সোলানাইন। কোন আলুতে এমন সবুজাভাব দেখা দিলে সেই আলু রান্না করে খাওয়া থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দেন লিসা।
বেগুন
আলু বদ্ধ ও ভ্যাপসা কোন স্থানে রেখে দিলে সোলানাইন তৈরি হয়। কিন্তু কচি বেগুনে প্রাকৃতিকভাবেই এই সোলানাইন উপস্থিত থাকে। ফলে সদ্য ক্ষেত থেকে তুলে আনা কচি বেগুন খাওয়ার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে বেগুন খাওয়ার ফলে অনেকের বিভিন্ন অ্যালার্জিক রিয়েকশন দেখা দেয়। সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
স্প্রাউটস
অবশ্যই স্প্রাউটস খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে কিছু স্প্রাউটসে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ই. কোলাই, স্যালমোনেল্যা ও লিস্টারিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকে। যে কারণে স্প্রাউটস কেনার সময় সতর্ক থাকার পাশপাশি স্প্রাউটস ভালোভাবে পরিষ্কার করা, রান্না ও সিদ্ধ করার বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
তিতা কাঠবাদাম
কাঠবাদাম মূলত দুই ধরণের হয়- তিতা কাঠবাদাম ও মিষ্টি বা স্বাদু কাঠবাদাম। আমরা সাধারণত খাওয়ার জন্য কিংবা রান্নায় মিষ্টি কাঠবাদাম ব্যবহার করি। অন্যদিকে তিতা কাঠবাদামে থাকে হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড। যা হাইড্রোজেন সায়ানাইড ও জলর একটি বিষাক্ত মিশ্রণ। জেনে অবাক হবেন, মাত্র ৭০টি তিতা কাঠবাদাম প্রয়োজন হবে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলার জন্য। যে কারণে কাঠবাদাম কেনার সময় খব ভালোভাবে দেখে কিনতে হবে।
দুধ
এই তালিকায় দুধের নাম দেখে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু জেনে রাখুন কাঁচা ও জ্বাল দেওয়া ছাড়া দুধ স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ হুমকিস্বরূপ। পাস্তুরিত বিহীন দুধে ই. কোলাই ও স্যালমোনেল্যা ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া কাঁচা দুধে প্রায় ১৫০ ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরির জন্যেও দায়ী। যে কারণে দুধ কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে, দুধ পাস্তুরিত কিনা। এবং বাসায় ভালোভাবে জ্বালিয়ে তবেই দুধ পান করতে হবে।
সসেজ
এমনিতেও সসেজে খুব একটা স্বাস্থ্য উপকারিতা ও উপকারী পুষ্টিগুণ থাকে না। তার উপরে যদি কাঁচা সসেজ খাওয়া হয়, সেটা স্বাস্থ্যে জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্যাকেটজাত সসেজ থেকে লিস্টারিয়া ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। যা কেবলমাত্র উচ্চতাপে বিনষ্ট হয়।