আমাদের বর্তমান সমাজ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। সবকিছুই মানুষের হাতের মুঠোয়। সে কারণে ছোট থেকে বড় সবাই এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সময় কাটাতেও এখন সবার ভরসা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ। বাচ্চারাও এখন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ ছাড়া থাকতে পারে না। খাওয়া থেকে শুরু করে খেলা সবকিছুতেই এখন তাদের মোবাইল চাই।
অন্যদিকে বাচ্চাদের এই মোবাইল ফোন থেকে মোহ দূর করিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে মা-বাবা হিমশিম খাচ্ছেন। নিশ্চয়ই প্রযুক্তির এই জোয়ারে কীভাবে আপনার সন্তানকে বইমুখী করে তুলবেন সেই চিন্তা করছেন? আজ আপনাদের জন্য থাকছে এমন কিছু কার্যকরী টিপস, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার সন্তানকে বইমুখী করে তুলতে পারবেন-
>> ঘরে যেন বই পড়ার উপযুক্ত জায়গা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
>> আপনার সন্তান যে বই পছন্দ করে, সেই বই-ই ওকে পড়তে দিন। ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিলে ও পড়তে চাইবে না।
>> বাচ্চারা অনুকরণপ্রিয় হয়। বিশেষ করে বাবা-মা যা করে তারা তা-ই করতে পচ্ছন্দ করে। তাই আগে আপনি বই পড়া শুরু করুন। আপনাকে দেখে আপনার বাচ্চাও বই পড়তে উৎসাহ পাবে।
>> সন্তানের বই পড়ায় আগ্রহ জাগাতে তাকে বই পড়ে শোনান। কোনো বই নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করুন। পড়া হয়ে গেলে গল্প আকারে তাকে বলুন, প্রশ্ন করুন।
>> বই পড়া শুধু পড়ার জন্য নয়। বই পড়াকে জীবনের অংশ করে তুলুন। আপনার সন্তানের উত্সাহ আছে, এমন বিষয়ের ওপর তাকে বই কিনে দিন। আপনার সন্তান কোনো কিছু কিনে দেয়ার আবদার করলে তাকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলুন, বই পড়ে তাকে সেই বিষয়ে ধারণা নিতে বলুন।
>> মহাকাশ বা মিউজিক বা ভূতের গল্প- যা-ই হোক না কেন, যে বিষয়ে আপনার সন্তানের আগ্রহ সে বিষয়ে বই কিনে দিন।
>> প্রতিদিন কোনো একটা কাজ নিয়ম করে করলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট সময় বের করুন সন্তানের সঙ্গে একসঙ্গে বই পড়ার জন্য। এই সময়টা যাতে তার জন্য রিল্যাক্সিং হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
>> বইয়ের প্রচ্ছদের ওপর গুরুত্ব দিন। বাচ্চারা রঙ-বেরঙের প্রচ্ছদের বই পচ্ছন্দ করে। এছাড়া প্রথমে ছবির বই কিনে দিতে পারেন। এতে করে পড়ার আগ্রহ বাড়বে।