সব সময় চেষ্টা করেন নিজেকে ফিট রাখার কিন্তু দিন দিন পেটের মেদ বেড়েই চলেছে? আর তাতে করে দেখতে যে উদ্ভট লাগছে তা আর বলে দিতে হয় না। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ভুল খাবারে পেট ভরানো, কায়িক শ্রম কম করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণে পেটের মেদ বাড়তে পারে হু হু করে। সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও সময় লাগে না। ডেকে আনে নানা নানা অসুখবিসুখ।
পেটের মেদ নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকি আমরা কমবেশি অনেকেই। পেটে মেদ জমা শরীরের জন্য কিন্তু খুবই ক্ষতিকর। সামান্য কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা নিজেদের রাখতে পারি সুস্থ। জেনে নিন মেদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি উপায়।
১। হঠাৎ ক্ষুধা লাগলে ফাস্টফুড খেয়ে ফেলবেন না। ফাস্টফুড এবং কোল্ড ড্রিংক পেটে মেদ জমিয়ে দেয় খুব দ্রুত। মেদ কমানোর জন্য দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকাটাও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে উল্টো পেটে মেদ জমে যায়। নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। তবেই আপনি থাকবেন ফিট ও সুস্থ।
২। ব্যস্ততার মধ্যে খাবার খাওয়া ও ভালো করে খাবার চিবিয়ে না খাওয়ার কারণে পেটে জমে যেতে পারে মেদ। ব্যস্ত বা অমনোযোগী অবস্থায় খাবার খেলে অনেক সময়ই খাওয়া হয়ে যায় অতিরিক্ত। তাড়াহুড়ো করে খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস পরিহার করুন।
৩। অনিদ্রা পেটের মেদ বাড়ায়। প্রতি রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। স্ফীত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তির আরও এক উপায় কলা খাওয়া। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা, শরীরের জল ধারণ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে, পাচনতন্ত্রে থাকা সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকা, শরীরচর্চা না করাও পেটে মেদ জমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অফিসে থাকলে একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে হাঁটাহাটি করুন। সেই সঙ্গে শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫। সকালের খাবার কখনও বাদ দেবেন না। দিনের শুরুতে পেট ভরে না খেলে যেমন সারাদিন কাজ করার শক্তি পাওয়া যায় না, তেমনি পেটে অহেতুক মেদ জমে। যাদের ভুঁড়ির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সকালের নাস্তায় প্রোটিন এবং খাবার খান। যাতে পাচনক্রিয়া ভালো এছাড়া রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করুন। অন্তত খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান।
৫। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত তরল খাবার রাখা জরুরি। জল, ফলের রস এগুলো পান করা চাই প্রতিদিন। পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও খাবেন নিয়ম করে। কেবল কার্বোহাইড্রেটে নির্ভরশীল হয়ে গেলে পেটে জমবে মেদ।
৬। সালাদ বা ছোট মাছ খান খাবার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। বিয়ার খাওয়ার পরিমাণের সঙ্গে পেটের আকৃতির কোন ভূমিকা না থাকলেও, মনে রাখা ভাল, ধূমপানে পেট ফোলে। পেট খালি রাখবেন না। এতেও পেট ফুলতে পারে। বরং খাদ্য তালিকা থেকে যথা সম্ভব ছেঁটে ফেলুন স্নেহ জাতীয় পদার্থ।