শুনতে অবাক লাগলেও মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের প্রায় প্রতিটি ভাইটাল অর্গ্যানের কর্মক্ষমতা বাড়াতে লেবু চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে লেবুতে উপস্থিত একাধিক কার্যকরী উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নিজেদের খেল দেখাতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে আমাদের দেহের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপও হ্রাস পেতে থাকে। যেমন ধরুন-
১. ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে: চা এবং লেবু, দুটোতেই রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তো এই সকাল-বিকাল লেবু চা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, লেবুতে লিমোনয়েড নামে একটি উপাদান রয়েছে যা মুখগহ্বর, লাং, ব্রেস্ট এবং স্টমাক ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধিকে দূরে রাখে।
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে কিডনি স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। এখানেই শেষ নয়, খাবার উপস্থিত নানাবিধ পুষ্টকর উপাদান যাতে শরীরের ঠিক মতো কাজে আসতে পারে সেদিকেও লেবু চা বিশেষ খেয়াল রাখে।
৩. শরীরকে বিষমুক্ত করে: খাবারের সঙ্গে এবং আরও নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে প্রবেশ করে চলেছে। আর রক্তে মিশতে থাকা এইসব টক্সিক উপাদান শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই এ বিষয়ে সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! আজ থেকেই দিনে কম করে দুবার লেবু চা খাওয়ার অভ্যাস করুন, তাহলেই উপকার পাবেন। কারণ এই পানীয়টি টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে দ্রুত বার করে দিয়ে দেহকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. আয়রনের ঘাটতি দূর হয়: নিয়মিত লেবু চা খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে আয়রনের শোষণ মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন মাত্রাও। ফলে একদিকে যেমন পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়, তেমনি অ্যানিমিয়ার মতো রোগর প্রকোপও হ্রাস পায়।
৫. ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমায়: খুব ঠান্ডা লেগেছে? সঙ্গে নাক দিয়ে অঝোরে ঝরছে জল? তাহলে এক্ষুনি এক ফ্লাক্স লেবু চা বানিয়ে রেখে দিন, আর দিনে কম করে ২-৩ বার পান করুন, দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ লেবু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াদের প্রকোপ কমিয়ে এমন ধরনের শারীরিক সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে লেবু চায়ে অল্প করে আদা মিশিয়েও খেতে পারেন। এমনটা করলে আরও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।