শনিবার বাংলাদেশের টক অফ দ্য কান্ট্রি ছিল ঢাকায় সানি লিওন। মধ্যরাতে সানির কিছুটা ঝলকও দেখেছেন নেটিজেনরা। গান বাংলা চ্যানেলের কর্ণধার তাপস ও মুন্নীর মেয়ের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন সানিও লিওন ও তার স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার।
রাজধানীর শেফস টেবিল কোর্ট সাইডে আয়োজিত এই বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলিউড, টালিউড ও ঢালিউডের অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন। বলিউডের নারগিস ফাখরি ও খৈলাশ খের, কাঁটা লাগা গায়িকা শেফালি জাড়িওয়ালা। টালিউডের, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, যশ উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সানি লিওনের প্রতি মুগ্ধতাও প্রকাশ করলেন এই অভিনয়শিল্পী।
তিনি বলেন, সানি তো খুবই ভালো, খুবই ভালো। ফার্স্টে যখন এন্ট্রি হচ্ছিল, আমি ওর পেছনে দাঁড়ানো ছিলাম। ও আমাকে পাশে নিয়ে দাঁড়া করিয়েছে। ও আর ওর হাজব্যান্ড আমাকে বলছে তুমি আমার পাশে এসে দাঁড়াও, কোনো সমস্যা নেই। আমি বললাম, সিউর? ও বললো ইয়েস, সিওর। পরে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। স্টেজে যখন উঠলাম তখন আমি বললাম, ছবি তুলতে চাই। ও বললো সিউর। মুখে হাসি লেগেই রইলো। কাছে এসে ছবি তুললো। ও খুবই ভালো, খুবই লক্ষ্মী।
এক সঙ্গে নাচের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে দীঘি বলেন, দেখে আসলে এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি তারা বিদেশি। আমরা বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেভাবে নাচি না, একদম সেভাবেই আমরা নেচেছি। পাশাপাশি নেচেছি, আমি ভিডিও পোস্ট করেছি তো একটি। পরে গোল হয়ে নাচছিলাম, ওই ভিডিওটাতে সেটা রয়েছে। ওরাও আমাদের একেবারে পরিচিতের মতো আপন করে নিয়েছিল, আমাদের সঙ্গে সেভাবেই এনজয় করেছে।
ঢাকায় সানি লিওনি টুরিস্ট ভিসায় এসেছিলেন। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিউটি অফিসার মো. খায়রুল বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন সানি লিওনি। তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা ছিল না। তিনি আমেরিকার নাগরিক হিসেবে এসেছেন। তার কাছে বৈধ ভিসা ছিল।