করোনা মহামারির কারণে বাড়িতে থাকা বেড়েছে প্রায় সবারই। বিশেষ করে লকডাউনের সময়ে বাড়িতে থাকার কারণে কমেছে হাঁটাচলা। যে কারণে ওজন বেড়েছে অনেকেরই। লকডাউন উঠে গেছে, আমরা ফিরতে চেষ্টা করছি স্বাভাবিক জীবনে। এই অবস্থায় বাড়তি ওজন কমানোর দিকে মন দিয়েছেন অনেকে।
আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করলে আপনি সহজেই অনেক ধরনের ওজন কমানোর টিপস পাবেন, তবে তার সবগুলো কার্যকরী নয়। ওজন কমানো নিয়ে নানা ধরনের মিথ রয়েছে, যেগুলো বিশ্বাস করা বন্ধ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কার্বস ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে
আমাদের শরীরের প্রতিটি ছোট্ট মুভমেন্টের জন্য শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। যখন সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয়, তখন এটি ওজন বাড়ায় না। ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময়, খাবারের তালিকায় আস্ত শস্য, জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন খাওয়া আবশ্যক।
প্যাকেটজাত খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে
প্যাকেটজাত খাবার কখনোই বাড়িতে রান্না করা তাজা খাবারের তুলনায় স্বাস্থ্যকর হতে পারে না। বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাবারকে কম চর্বিযুক্ত এবং গ্লুটেনমুক্ত বলে দাবি করা হলেও এতে চিনি বেশি থাকে। পাশাপাশি এটি ওজন কমানোর জন্য ভালো নয়। প্যাকেটের গায়ে থাকা স্বাস্থ্যকর লেবেলগুলোতে প্রায়ই ভুল তথ্য দেওয়া থাকে। তাই প্যাকেটজাত অনেক খাবার স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হলেও আসলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং, প্যাকেটজাত খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে রান্না করা তাজা খাবার খাওয়া ভালো।
স্লিমিং চা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে
ভেষজ চায়ে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং এটি আপনার শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই চা সরাসরি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে না। এটি বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ এবং ক্যালোরি ঝরানোর পথ উন্নত করে।
কম খেলে ওজন কমে
ক্যালোরি ঘাটতি তৈরি করা ওজন কমানোর প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি। ক্যালোরির ঘাটতি মানে হলো, আপনি যা খান তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো। এ কারণে কম খাওয়া এবং বেশি মুভমেন্ট বেশি ওজন কমানোর জন্য যৌক্তিক মনে হয়। এটি অল্প সময়ের জন্য কার্যকরী হলেও দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণ করা বা জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিণত করা ঠিক নয়। যারা শারীরিক এবং জৈব রাসায়নিক কারণে কম খাওয়া শুরু করে, তারা তাদের স্বাভাবিক ডায়েটে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওজন বাড়তে থাকে।
না খেয়ে থাকলে ওজন কমে
ক্র্যাশ ডায়েট দীর্ঘমেয়াদে সাহায্য করে না। বরং এটি ওজন আরও বাড়িয়ে তোলে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, ক্র্যাশ ডায়েট মেনে চলা অত্যন্ত কঠিন এবং এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে। না খেয়ে থাকলে তা শরীরের শক্তি হ্রাস করে। ফলে তা উচ্চ-চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-চিনিযুক্ত খাবারের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে তোলে।