অকারণেই গোছা গোছা চুল ওঠে। কোনভাবেই চুল পড়ার হার কমানো যায় না। ভিন্ন শ্যাম্পু, তেল ব্যবহার করে কিংবা ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহারেও লক্ষণীয় সুফল পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে চুলের যত্নে ও চুল পড়ার হার কমাতে ব্যবহার করতে হবে ভিটামিন-ই।
কেন ভিটামিন-ই?
পুষ্টির যোগানে চুলে সরাসরি এসেনশিয়াল পুষ্টিগুণ দেওয়া গেলে চুলের সমস্যা মিটবে ও কাজ হবে দ্রুত। এছাড়া মাথার ত্বকের সাহায্যে পুষ্টি চুলে প্রবেশ করলে চুল গোড়া শক্ত হবে তুলনামূলক বেশি। ভিটামিন-ইতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলের সমস্যা দূর করতে কাজ করে এবং নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে।
এছাড়া ভিটামিন-ই মাথার ত্বককে আর্দ্রতাপূর্ণ রাখে, মাথার ত্বকের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে, চুল ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে ও ভঙ্গুর চুলকে মজবুত হতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন-ই’র ব্যবহারে রোদের ক্ষতিকর আলো থেকে চুল সুরক্ষিত থাকে। এবারে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিন ভিতামিন-ই ব্যবহারের উপকারিতাগুলো।
সুস্থ রাখে স্ক্যাল্প
সুস্থ স্ক্যাল্প চুলের বৃদ্ধির জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে চুল দৃঢ় ও শক্ত হয়। ভিটামিন-ই স্ক্যাল্পের লিপিড স্তর রক্ষা করে চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুল ও মাথার তালুর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কাজ করে।
নিয়ন্ত্রণে রাখে চুল পড়া
চুল পড়ার হাড় কমাতে ভিটামিন-ই সবচেয়ে বেশি কাজ করে। নিয়মিত ভিটামিন-ই এর ব্যবহার চুল পড়া কমিয়ে আনতে দারুণ কার্যকর। গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ভিটামিন-ই’র অভাব পরিলক্ষিত হয়।
ভারসাম্য রাখে pH এর মাত্রা ও তেল উৎপাদনে
নানাবিধ কারণের মাঝে যে দুইটি কারণে চুল পড়ে সেগুলো হলো- স্ক্যাল্পে দুর্বল pH ব্যালেন্স ও মাথার ত্বকের অপর্যাপ্ত তেল তৈরি বা নিঃসরণ। ভিটামিন-ই ব্যবহারে মাথার ত্বকের উপরিভাগে প্রতিরক্ষামূলক একটি স্তর তৈরি হয়। যা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান দেয়। এতে করে মাথার ত্বকে pH এর মাত্রা অক্ষুণ্ণ থাকে ও তেলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
চুলকে স্বাস্থ্যকর করে
সকলেই চায় উজ্জ্বল ও নরম চুল। ভিটামিন-ই ব্যবহারে খুব সহজেই তা পাওয়া যাবে। পুষ্টিগুণ ভিটামিন-ই চুলের উপরিভাগের অংশকে মজবুত করে উজ্জ্বল দেখাতে কাজ করে। নিয়মিত ভিটামিন-ই এর ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য সময়ের সাথে আরও ভালো হতে থাকে।
কীভাবে ব্যবহার করতে হবে ভিটামিন-ই?
বহু ভাবেই চুলের জন্যে ভিটামিন-ই ব্যবহার করা যাবে। সবচেয়ে প্রাথমিক উপায়টি হলো ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের তেল নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল অথবা অ্যাভোকাডো অয়েলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা।
এছাড়া ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী এতেও ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুল মিশিয়ে নেওয়া যাবে।
পাশাপাশি নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন-ই যুক্ত খাদ্য উপাদান বেশি রাখার উপর প্রাধান্য দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, অ্যাভোকাডো, আম, কচু শাক, ব্রকলি, তৈলাক্ত মাছ প্রভৃতি বেশি খেতে হবে।
RS