চুল পড়ার সমস্যা দূর করার ৪টি বিশেষ উপাদান

আবহাওয়া বদল ও পরিবেশ দূষণের প্রভাব ত্বকের সঙ্গে চুলের উপরেও দেখা দেয়।
ফলে বেড়ে যায় খুশকির প্রাদুর্ভাব। শুষ্ক হয়ে ওঠে মাথার ত্বক। এই সকল কারণে বেড়ে যায় চুল পড়ার হার তুলনামূলক বেশি।

সাধারণ নারিকেল তেল সবসময় ব্যবহার করা হলেও আবহাওয়া বদলের এই মৌসুমে চুলের জন্য প্রয়োজন বাড়তি পরিচর্যা। হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে অনেকেই এড়িয়ে যায়। সেক্ষেত্রে উপকারী চার তেলে চুল পড়ার হার কমিয়ে আনা যাবে খুব দারুণভাবেই।

মেথি
চুল ভেঙে যাওয়া ও চুলের গোড়া মজবুত করা এবং চুল কোমল করে তুলতে মেথি ব্যবহারের জুড়ি নেই। মূলত এতে থাকা প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড চুলের যত্নে কাজ করে ও চুলের বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। মেথি ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ নারিকেল তেল ও অলিভ অলিভের সঙ্গে এক চা চামচ মেথি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। তেল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে।

সরিষার তেল
হুট করে চুল পড়ার হার বেড়ে গেলে ব্যবহার করতে হবে বিশুদ্ধ সরিষার তেল। এই তেলের প্রোটিন, ওমেগা- থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের পুষ্টি যোগাতে সহায়ক। ফলে চুল পড়ার হার দ্রুত কমে যায়। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান মাথার ত্বকের ইনফেকশনজনিত ও খুশকিজনিত সমস্যা কমায়। খুশকি চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণের মাঝে একটি।

কালো জিরার তেল
সকলের মাথার ত্বকের খুশকির ধরণ ও মাত্রা এক রকম হয় না। ফলে অনেকের ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার কার্যকরী হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর না হতেই পারে। সেক্ষেত্রে ব্যববার করতে হবে কালো জিরার তেল। খুশকি দূর করতে কালো জিরার তেল বা ব্ল্যাক সিড অয়েলের ব্যবহার দারুণ উপকারী ও কার্যকরী। এই তেল মাথার ত্বকের উপকার করার পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে আনে।

তিলের তেল
চুলের জন্য উপকারি ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টিগুণের দুর্দান্ত সংমিশ্রণ তিল বা তিলের তেল। স্কাল্প বা মাথার ত্বকের সমস্যায় তিলের তেল ব্যবহার করতে হবে। স্কাল্প শুষ্ক হয়ে গিয়েছে? চুলের গোড়ার আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে তিলের তেল। তিলে থাকা ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করার সঙ্গে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় যায় অল্প সময়ের মাঝে।

RS