আয়ুর্বেদিক উপায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্রণের উপদ্রবকে দূরে রাখা গেলে আর কি চাই।
এই আয়ুর্বেদিক উপায়গুলো কিন্তু খুব কঠিন কিংবা জটিল হয় না মোটেও। বরং স্বাস্থ্যকর, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বিহীন আয়ুর্বেদের চিকিৎসা ও পদ্ধতিগুলো মেনে চলা যায় নিশ্চিন্তে।
ত্বকের নানান সমস্যার মাঝে ব্রণের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি জ্বালায়। যন্ত্রণাদায়ক ব্রণের সমস্যাকে কাবু করতে আয়ুর্বেদিক উপায়ের বিকল্প নেই।
তুলসি পাতা ও হলুদের মিশ্রণ
এই মিশ্রণটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে ২০টি তুলসির পেস্ট ও ২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া। উপকারী এই উপাদান দুইটি ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জলে আধা চা চামচ করে মিশিয়ে পান করতে হবে। ১৫-২০ দিন টানা এই মিশ্রণটি গ্রহণে ত্বকে ব্রণের প্রকোপ কমে আসবে। তুলসি পাতা ও হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নিমপাতা ও গোলাপ জলের মিশ্রণ
ব্রণের উপদ্রুত কমাতে চাইলে নিমপাতা ও গোলাপ জল ব্যবহার করতে হবে। এই দুটি উপদানে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান ব্রণের সমস্যা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের ভেতরের pH (পিএইচ) এর মাত্রা বাড়ায়। যার দরুন ত্বক সুস্থ থাকে।
উপাদান দুইটি ব্যবহারে পরিমাণ মতো নিম পাতা ২-৩ মিনিট এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। জল শুকিয়ে আসলে নিম পাতা ছেঁকে পেস্ট বানাতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩-৪ দিন এইভাবে নিম পাতা ও গোলাপ জল ব্যবহার করতে হবে।
অ্যালোভেরা পাতার জেল
কিছু ব্রণ ত্বকে কালচে দাগ ফেলে দেয়। ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার জেল সবচেয়ে উপকারী ও কার্যকরি। একইসঙ্গে ব্যথাযুক্ত ব্রণের ব্যথা কমাতেও অ্যালোভেরার জেলের বিকল্প নেই। কারণ অ্যালোভেরা পাতায় থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যমেটরি উপাদান। যা ত্বকের প্রদাহ কমায়। অ্যালোভেরা পাতার জেল ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে চামচের সাহায্যে জেল তুলে নিতে হবে। এই জেল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। চাইলে জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নেওয়া যাবে।
নজর দিতে হবে খাদ্যাভাসে
খাদ্যাভাসের সঙ্গে ব্রণের সমস্যার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তেল-মশলাযুক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খাবার নিয়মিত খাওয়া হলে ব্রণের সমস্যা এড়ানো সম্ভব নয়। অন্যদিকে সবজি ও ফল যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে, তবে ব্রণের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন প্রয়োজন হবে না একেবারেই।
প্রয়োজন পরিমিত জল পান করা
শরীরে টক্সিন উপাদানের মাত্রা বেড়ে গেলে ব্রণের উৎপত্তি দেখা দিতে শুরু করে। শরীর থেকে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে জল। জল পানের মাত্রা কমে গেলেই যে কারণে ত্বক খসখসে ও নিস্প্রাণ হয়ে পড়ে। ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ শুধুই স্বাস্থ্যের জন্য, ত্বকের জন্যেও ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস জল পান করার অভ্যাসটি বহাল রাখতে হবে।
RS