রান্না কিংবা ভর্তায় সরিষার তেল ছাড়া কোন গতি নেই।
এমনকি চুলের যত্নেও চাই একদম খাঁটি সরিষার তেল। কিন্তু ত্বকের যত্নে সরিষার তেলের ব্যবহার তেমনটা নেই বললেই চলে। ভীষণ উপকারী এই প্রাকৃতিক তেলে থাকা ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। তবে ত্বকের জন্য সরিষা তেল কার্যকরি এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ধর্মের জন্য।
ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে সরিষার তেল
ত্বকের যেকোন ধরণের ইনফেকশনজনিত সমস্যায় সরিষার তেলের এই স্ক্রাবটি ব্যাবহার করলে দ্রুত ইনফেকশনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। স্ক্রাবটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১-২ টি জাফরান, এক চা চামচ চন্দন গুঁড়া, এক চা চামচ বেসন ও দুই চা চামচ সরিষার তেল। এই সকল উপাদান একসাথে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করতে হবে। স্ক্রাবটি আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে ম্যাসাজ করে মিনিট দশেক রেখে দিয়ে কুসুম গরম জলে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ বার স্ক্রাবটির ব্যবহারে ইনফেকশনের সমস্যা কয়ে আসবে ও ত্বক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
ত্বকের দাগ দূর করতে সরিষার তেল
এই ফেস প্যাকটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে এক টেবিল চামচ বেসন, দুই টেবিল চামচ সরিষার তেল, এক চা চামচ লেবুর রস ও দুই টেবিল চামচ দই। একসাথে সকল উপাদান ভালোভাবে মেশানোর পর মিশ্রণ তৈরি হলে সেটা মুখ ও গলার ত্বকে সমানভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে পনের মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ব্রণের সমস্যায় সরিষার তেল
অনেকেই জানেন না, সরিষার তেল ব্রণের সমস্যা দূর করতে উপকারী। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ এই তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জেদি ব্রণ ও অ্যাকনের সমস্যা কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারের জন্য এক কাপ নারিকেল তেলের ভেতর এক চা চামচ সরিষা তেলের বীজ ফুটিয়ে এরপর তেলটি ছেঁকে নিতে হবে। এই তেলটি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে হালকা ধাঁচের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
RS