একজন মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর দেখায় হাসলে।
হাসি শুধু আনন্দ ও ভালো থাকার অনুভূতিই প্রকাশ করে না, প্রাকৃতিক ও সহজাত সৌন্দর্যকেও তুলে ধরে। তবে ঠোঁটে যদি কালচে ভাব দেখা দেয়, স্বাভাবিক সৌন্দর্যের অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকের ঠোঁটেই কালচে ভাব দেখা দেয়। পরিবেশ, আবহাওয়া, অনিয়ম, জেনেটিক কিংবা শারীরিক সমস্যাজনিত নানাবিধ কারণেই ঠোঁটে কালচে ভাব দেখা দিতে পারে।
তবে শীতকালে এই সমস্যাটি নতুনভাবে দেখা দেয়। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে খুব একটা ঝক্কির প্রয়োজন নেই। সহজ সমাধান রয়েছে হাতের নাগালেই।
লেবু
ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে লেবু দারুণ কার্যকরি একটি উপাদান। ঠোঁটের জন্যেও তাই লেবুর ব্যবহার থাকবে সবার আগে। তবে সরাসরি লেবুর রস কখনোই ত্বকে প্রয়োগ করা যাবে না। লেবুর প্রবল অ্যাসিডিক ধর্ম, ত্বকের উপকারের বদলে অপকার করবে বেশি। তাই ঠোঁটের জন্য লেবুর রস ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে তুলার বলের সাহায্যে ঠোঁটে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ঠোঁটে লেবুর রস শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম জলে ঠোঁট ধুয়ে নিতে হবে। ঠোঁট যদি বেশি শুষ্ক হয়ে ওঠে তবে চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দ্রুত দূর করতে চাইলে টানা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন একবার লেবু ব্যবহার করতে হবে।
গোলাপ ফুলের পাপড়ি ও গ্লিসারিন
আবহাওয়াজনিত ও অনিয়মের জন্য যদি ঠোঁটে কালচে ভাব দেখা দেয় তবে এই পদ্ধতিটি চমৎকার কাজ করবে। এর জন্য দুই-তিনটি গোলাপ ফুলের পাপড়ি ভালোভাবে পিষে এর সঙ্গে এক চা চামচ গ্লিসারিন যোগ করে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। সকালে ঠোঁট ধুয়ে নিলেই পার্থক্যটা বোঝা যাবে। তবে ঠোঁট থেকে কালচে ভাব পুরোপুরি দূর করতে চাইল প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করতে হবে।
আমন্ড অয়েল
চুল ও ত্বকের মতো ঠোঁটের জন্যেও উপকারিতা বহন করে আমন্ড অয়েল। ঠোঁটে ব্যবহারের জন্য আমন্ড অয়েলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এই স্ক্রাবটি ঠোঁটে ম্যাসাজ করে ঘুমাতে হবে। এতে করে ঠোঁটের মরা চামড়া ও লুকায়িত ময়লা দূর হবে এবং ঠোঁটের ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা প্রকাশ পাবে। এই শীতে প্রতিদিন একবার আমন্ড অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
RS