জটবিহীন সুন্দর চুল! জেনেনিন কিছু পরামর্শ

চুলে জট বাঁধার মতো সমস্যাটির মুখোমুখি হয়নি এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। চুল লম্বা কি খাটো, কোঁকড়া কি সিল্কি- যেমনটাই হোক না কেন, নিয়ম মেনে চুল জট বাঁধবেই। এই জট ছাড়াতে গিয়ে চুল পড়ে যাওয়া ও চুল ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা তো থাকেই, সেই সঙ্গে চুলেরও দারুণ ক্ষতি হয়।

চুলে জট বাঁধার কারণ
প্রতিটি সমস্যার পেছনেই কিছু নির্দিষ্ট কারণ থাকে। যার ফলে সমস্যাটি দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই একেবারে অকারণে চুলে জট বাঁধার সমস্যাটি দেখা দিবে না। বিরক্তিকর এই সমস্যাটি দেখা দেওয়ার পেছনে খুব কমন কিছু কারন থাকে। তার কয়েকটি হলো-

১. চুলে আর্দ্রতার অভাব।

২. রাতে চুল না বেঁধে ঘুমানো।

৩. নিয়মিত চুল না আঁচড়ানো।

৪. নিয়মিত চুল ট্রিম না করা।

৫. ক্ষতিগ্রস্থ কিউটিক্যালস।

চুলে জট বাঁধা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
কিছুটা সচেতনতা ও প্রতিদিনের যত্নই চুলকে জট বাঁধার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। কয়েকটি নিয়ম যা সকলের মেনে চলা প্রয়োজন তা তুলে ধরা হলো।

ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করা
শ্যাম্পু করার পর অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে খুব সহজেই জট পাকিয়ে যায়। চুল আঁচড়ানোর সময় জট ছাড়াতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা
চিকন দাঁতের চিরুনি কিংবা হেয়ার ব্রাশ ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হবার পাশপাশি, চুলে খুব দ্রুত জট পাকিয়ে যায়। অন্যদিকে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহারে চুলের কোন ক্ষতি তো হয়ই না, সাথে চুল আঁচড়ানো যায় সহজেই। এছাড়া চুলের ছোটখাটো জট ছাড়াতেও মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হয়। চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়ানো কষ্টকর।

হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা
চুলকে নরম ও স্মুদ রাখতে পারলে, চুলে জট বাঁধার সমস্যা এড়ানো সহজ হয়ে যায়। খেয়াল করলে দেখবেন, সিল্কি ও সফট চুলে তুলনামূলক কম জট বাঁধে। চুল কোঁকড়া হোক কিংবা সোজা, চুলকে নরম রাখতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে হেয়ার মাস্ক। টকদই, মধু ও আমন্ড অয়েলের মিশ্রণে তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে চুল সফট ও স্মুদ হবে।

নিয়মিত তেল ব্যবহার করা
চুলকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখার জন্য নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে অর্গানিক নারিকেল তেল ও আমন্ড অয়েলের মিশ্রণ চুলকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনদিন হট অয়েল ম্যাসেজ চুলকে সুস্থ রাখার সঙ্গে কোমল রাখতেও সাহায্য করবে। ফলে চুলে জট দেখা দেওয়া কমে যাবে।

ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে নেওয়া
যাদের চুল ছোট, চুল খুলে রেখে ঘুমালে সমস্যা নেই। কিন্তু লম্বা চুল থাকলে অবশ্যই চুলে বেণি অথবা হাতখোঁপা করে ঘুমাতে হবে। নয়তো খুব সহজেই চুলে জট পাকিয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে।

RS