বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকেও বয়সের ছাপ দেখা দেয়।
যা খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, অনেকের চেহারাতে অল্প বয়সেই বয়সজনিত ছাপ পড়ে যায়। যার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস।
দীর্ঘদিন যাবত খাদ্যাভাসে অনিয়ম থাকার ফলাফল স্বরূপ চেহারার উপর খুব সহজেই বয়সের ছাপ দেখা দেয়। জেনে নিন চেহারায় বয়সের ছাপ তৈরি করার পেছনে কোন খাবারগুলো বিশেষভাবে দায়ী।
চিনি
এই নামটি শুনে খুব একটা অবাক হবার কথা নয়। অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে একটি প্রক্রিয়া তৈরি হয়। ডাক্তারি ভাষায় এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় গ্লাইকেশন। এটা তখনই ঘটে যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি গ্রহণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে ত্বকের কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে ত্বকের নমনীয়তা নষ্ট হয়ে বলীরেখা দেখা দেয়।
পোড়ানো মাংস
যদি স্টেক জাতীয় খাবার আপনার পছন্দ হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। পোড়ানো মাংসের হাইড্রোকার্বন ত্বকের কোলাজেনকে ভেঙ্গে ফেলে। যার ফলে তৈরি হয় প্রদাহ। এই প্রদাহের ফলে ত্বকে ফোলা ফোলা ভাব তৈরি হয়।
লবণ
বাড়তি লবণ সবসময়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লবণ শুধু ত্বকে নয়, পুরো শরীরের উপরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। লবণ শরীরে জল আনে, যার ফলে ফোলা ফোলা ভাব তৈরি হয়।
প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার
যেকোন ধরণের প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ ক্ষতিকর। বিশেষ করে ফ্রোজেন খাবারগুলোতে অতিরিক্ত প্রিজার্ভেটিভ ও লবণ ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের উপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে দেয়। এছাড়া, এই সকল গ্রহণ করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা প্রয়োজন। কারণ এই খাবারগুলোতে কোন স্বাস্থ্য উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও মিনারেলস একেবারেই থাকে না।
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার
প্রতিনিয়ত মশালযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারণ এই সকল মশলা রক্তের সাথে মিশে ত্বকে ফোলাভাব তৈরি করে।
অ্যালকোহল
মদ্যপানের ফলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়। একবার মদ্যপানের ফলে শরীরে তৈরি হওয়া এই জলশূন্যতাভাব দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। শরীরে জলশূন্যতার ফলে মুখের ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। দেখা দেয় বলীরেখা ও দাগ।
RS