আবহাওয়ায় ত্বক ও চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এলেই যেমন ত্বক ফাটতে শুরু করে ঠিক তেমনই চুল পড়া কিংবা খুশির সমস্যা বেড়ে যায়। তবে জানেন কি, এক উপাদান ব্যবহারেই চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। বলছি গ্লিসারিনের কথা। এই উপাদান ব্যবহারে ত্বক যেমন কোমল ও মসৃণ হয় ঠিক তেমনই চুলের যত্নেও গ্লিসারিনের জুড়ি মেলা ভার।
চুলের জট ছাড়াতে যেসব প্রসাধনী বাজারে ব্যবহৃত হয় সেগুলোর মধ্যে ‘ডিট্যাঙ্গলিং লিক্যুইড’ নামক একটি উপাদান থাকে। যার প্রধান উপাদান হলো গ্লিসারিন।
তাই চুল নরম ও উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি প্রতিরোধে কার্যকরী এক উপাদান হলো গ্লিসারিন। জেনে নিন চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন গ্লিসারিন-
>চুল আরও শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে গ্লিসারিন চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। তাই শ্যাম্পু করার পর বাজারচলতি কন্ডিশনারের পরিবর্তে চুলে ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। দেখবেন চুল কতটা নরম হয়ে গিয়েছে।
> চুলের স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন। এজন্য সমপরিমাণে জল ও গ্লিসারিন একসঙ্গে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। হঠাৎ করেই চুল অত্যধিক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে গেলে এই মিশ্রণ চুলে স্প্রে করে নিন।
> চুলের আগা ফাটার সমস্যাতেও দারুন কার্যকরী হলো গ্লিসারিন। এ সমস্যা কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন। এজন্য অল্প গ্লিসারিন হাতে নিয়ে ভেজা চুলের ডগায় লাগিয়ে নিন। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে ও আগা ফাটাও রোধ হবে।
> খুশকির সমস্যায় ছোট-বড় সবাই কমবেশি ভোগেন। শীত এলেই এ সমস্যা বেড়ে যায়। জানেন কি, খুশকির সমস্যাও সমাধান করতে পারে গ্লিসারিন।
এজন্য অল্প পরিমাণে গ্লিসারিন হাতে নিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। জোরে জোরে ঘষবেন না। কারণ গ্লিসারিন চুলের গোড়া নরম করে দেয়। ফলে চুল পড়তে পারে।
সূত্র: RS