ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মসুর ডাল। ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও বলিরেখা দূর করতে মসুর ডাল দুর্দান্ত কার্যকরী। একইসঙ্গে এটি ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা ও কোমল। অতীতে বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকেই কনের মুখে মসুর ডাল বেটে লাগানো হতো। কারণ এতে তাৎক্ষণিক ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়। মসুর ডালে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান।
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর প্রোটিন থাকে। তাই মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের টিস্যু সজীব রাখে। সপ্তাহে ২-৩ বার মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারেই ত্বক হয়ে ওঠে টানটান। বলিরেখাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও মসুর ডাল খুবই উপকারী। দুধের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রকোপ কমে।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা। এটি ব্যবহারে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বের হয়ে যায়। কারণ এতে থাকে থাকে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন কে ও ভিটামিন এ।
এই ভিটামিনগুলো ত্বকের সানট্যান দূর করে। তার সঙ্গে ত্বকে পুষ্টিও যোগায়। ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই অনেক ফর্সা হয়ে যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করে মসুর ডাল।
কীভাবে তৈরি করবেন মসুর ডালের ফেসপ্যাক?
>> শুষ্ক ত্বকের জন্য ৫০ গ্রাম মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ দুধ আর এক চা চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
>> সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটার সঙ্গে সমপরিমাণ আমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।RS
তারপর মুখে মেখে ২ মিনিট স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ফেসওয়াশের মতোই কাজ করে। তৈলাক্ত ত্বক হলে নারকেল তেল ব্যবহার করবেন না।