মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহাকারী অধ্যাপক অ্যালিসিয়া ওয়াকার সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানিয়েছেন, বিশ্বে বিয়ে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা আছে পরকীয়ার। তবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি পরকীয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এক মাস থেকে এক বছর।
এক বছরের বেশি হলে তা সর্ব্বোচ্চ ১৫ মাস বা তার কিছু বেশি পর্যন্ত টেকসই হয়। শতকরা ৩০ ভাগ সম্পর্ক দুই বছর বা তার বেশি স্থায়ী হয়। পাঁচ ভাগের কম ক্ষেত্রে পরকীয়ার সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়।
যে ১০ পেশার মানুষ সবচেয়ে বেশি পরকীয়া করে যথাক্রমে সেগুলো হলো সামাজিক কাজ (সোশ্যাল ওয়ার্ক), শিল্প ও বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি, শিক্ষাক্ষেত্র, আইন পেশার মানুষেরা আর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসাক্ষেত্র, মার্কেটিং, সাংবাদিকতা, ফিন্যান্সের জড়িত ব্যক্তিত্ব।
পরকীয়ায় শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় আছে থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নরওয়ে, স্পেন, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিবাহিত ব্যক্তিদের ভেতর শতকরা ৫০ ভাগের বেশি বিবাহিত মানুষেরা জানিয়েছেন, তাদের অন্য সম্পর্ক আছে।
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, নিঃসন্তান দম্পতির চেয়ে যাদের সন্তান আছে, তাদের পরকীয়ার প্রবণতা বেশি। শতকরা ৫০ ভাগের বেশি পরকীয়ার সম্পর্ক রাখা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পারিবারিক জীবনে একঘেঁয়েমি সৃষ্টি হওয়ায় তারা পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।