চুলের সৌন্দর্য মানুষকে অনেক গুণ বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই দীর্ঘ কালো ঝলমলে চুলের প্রত্যাশা সবারই থাকে। আর এজন্য চুলের যত্নের পাশাপাশি উপযুক্ত খাদ্য তালিকাও প্রয়োজন। কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যা কেবল মাথার ত্বককে সুস্থই রাখে না, পাশাপাশি চুল আরও উজ্জ্বল করে তোলে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রভাব প্রতিফলিত হতে কিছুটা সময় নিতে পারে তবে প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে কার্যকরী প্রভাব ফেলবে। কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে চুল মজবুত ও লম্বা হবে। বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
ডিম
ডিমে প্রোটিন এবং বায়োটিন থাকে যা আপনার চুলের জন্য বিল্ডিং ব্লক হিসাবে কাজ করে। চুলগুলো কেরাটিন নামক স্ট্রাকচারাল প্রোটিন দ্বারা গঠিত এবং চুল সুস্থ রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট প্রয়োজন। ডিমে উপস্থিত বায়োটিনগুলো প্রোটিনকে ভেঙে অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত করে যা ঝলমলে চুল পেতে সহায়তা করে।
দই
দই প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা চুল এবং শরীর উভয়ের জন্যই উপকারী। দইয়ে ভিটামিন বি-৫ রয়েছে যা চুল পড়া এবং চুল পাতলার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে আপনাকে খাবারের জন্য টক দই বেছে নিতে হবে, কারণ মিষ্টি দইগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে।
আখরোট
আখরোট অবশ্যই খাওয়া উচিত কারণ এগুলো কেবল আপনার শরীরে শক্তি এবং উষ্ণতা সরবরাহ করে না বরং চুলের শেকড়কেও শক্তিশালী করে। আখরোটে ওমেগা ৩ এস, ওমেগা ৬ এস, ওমেগা ৯ এস এর উপস্থিতি চুলের গুণ বৃদ্ধি করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। আখরোটগুলো সেলেনিয়ামও সমৃদ্ধ যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চুল রক্ষা এবং চুল পড়া রোধ করে।
বীজ
কুমড়োর বীজ, ফ্লাক্স বীজ এবং সূর্যমুখী বীজ সুপারফুডের একটি অংশ এবং এগুলো থেকে প্রচুর স্বাস্থ্য বেনিফিট পাওয়া যায়। ফ্লাক্স বীজে বিশেষত পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শুকনো এবং ফ্ল্যাচি স্ক্যাল্প প্রতিরোধ করতে পারে। আপনি ভাজা ফ্ল্যাক্স বীজ খেতে পারেন, স্যুপে মেশাতে পারেন বা গুঁড়া করে পাস্তায় ছিটিয়ে দিতে পারেন।
সবুজ শাক
সবুজ শাকে ভিটামিন- ই, সি, বায়োটিন এবং আয়রন থাকে যা চুলের গোড়ায় রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখে। পালং শাক ভিটামিন- এ সমৃদ্ধ যা সিবামের ক্ষরণকে সাহায্য করে। সিবামের যথাযথ নিঃসরণ পর্যাপ্ত তেল সরবরাহের ফলে মাথার ত্বক শুকিয়ে যাওয়াকে বাধা দেয় যা চুলের বৃদ্ধিতে আরও সহায়তা করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ভিটামিন- এ এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক পুষ্টি উপাদান। বায়োটিন চুল স্টাইলিং পদ্ধতিগুলো যেমন- সোজা করা, কার্লিং এবং ব্লো শুকানোর মতো চুলের ক্ষতিগুলো ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।