হুটহাট ব্রণ উঠে মুখের সৌন্দর্যের বারোটা তো বাজায়ই, একবার হলে সেই দাগ আর যেতে চায় না। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে। তারা আগেভাগেই খোটাখুটি শুরু করে দেন। ফলস্বরুপ জন্ম নেয় নাছোড়বান্দা দাগ। তারপর সেই দাগ তাড়াতে এটাসেটা ব্যবহার। কিন্তু উপকার মেলে না সহজে। ব্রণের দাগ দূর করতে ঘরোয়া উপায় বেছে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে না। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমনই কিছু উপায়-
ব্রণ দূর করার কথা এলে প্রথমেই আসে মুলতানি মাটির নাম। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুলতানি মাটি জল দিয়ে পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করে। ফলে ব্রণ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব।
শশার রস মুখে ব্রণের দাগ দূর করতে ভীষণ কার্যকরী। স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে শসার রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। চাইলে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন । সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে। দূর হবে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস। ব্রণ থাকাকালীন এই স্ক্রাব করা যাবে না। ব্যবহার করতে হবে ব্রণের দাগ দূর করতে।
ব্রণ তাড়াতে কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড় কার্যকরী দুটি উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়া নিয়ে এতে পরিমাণমতো জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণের দাগ দূর করার জন্য আপেল এবং মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশিয়ে নেবেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর মুখ ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
চন্দন কাঠের গুঁড়ার ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।