বাড়িতে বন্দি থেকে যেসব সমস্যা হচ্ছে তার একটি হলো চুল বড় হয়ে যাওয়া। মেয়েরা তো বেশিরভাগই বড় চুলে অভ্যাস্ত, তবে সমস্যা হচ্ছে ছেলেদের ক্ষেত্রে। এই মুহূর্তে নরসুন্দরের দেখা পাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই উপায় নে দেখে অনেকে মাথা ন্যাড়া করে ফেলছেন।
তবে যারা ন্যাড়া হতে চাচ্ছেন না তারা বাড়িতেই কেটে নিতে চাইছেন অনেকে। বাড়িতে চুল কাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। এটি আপনি চুল কাটা শুরু করলেই বুঝতে পারবেন। একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই ফেলে দিতে হবে পুরো চুল। তাই জেনে নিন কিছু টিপস-
এই পরিস্থিতিতে চুলের প্রপার কাট করতে গেলে মুশকিল। প্রথমত আপনি প্রফেশনাল নন। চুল কাটায় পারদর্শী নন। আপাতত কয়েকটা দিনের জন্য কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো করে চুল কাটবেন। তাই চুলের প্রপার কাটের ভাবনা ভাববেন না।
লকডাউনের পরিস্থিতিতে বাড়িতে নিজের চুল কাটতে গেলে ট্রিমিংয়ের উপর জোর দিন। যদি আপনার লম্বা চুল হয়, তাহলে আপাতত ট্রিম করে নিন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রফেশনালের সাহায্যে প্রপার কাট করিয়ে নেবেন।
যদি আপনার ছোট চুল হয়, তাহলে রেজারের সাহায্যে ট্রিম করে নিতে পারেন। মাথার পিছনের দিকে চুল কাটতে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়ির কারো সাহায্য নিন।
কাটার আগে কয়েকটি ভাগে চুল ভাগ করে নিন। এর ফলে সব কয়েকটি ভাগ সমান ভাবে কাটা হয়েছে কিনা, তা বোঝার সুবিধে হবে। কিন্তু সব কয়েকটি ভাগ প্রফেশনালি কাটার কথা ভাবলে মুশকিল। বরং ট্রিম করার দিকে নজর দিন।
সঠিক উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যে কাঁচি দিয়ে আপনি কোনও প্যাকেট কাটেন, তা দিয়ে চুল নাও কাটা যেতে পারে। ফলে আপনার বাড়িতে যদি চুল কাটার কাঁচি থাকে, তাহলেই এই রিস্ক নিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশ্চয়ই দেখেছেন, কখনো আনুষ্কা শর্মা বিরাট কোহালির চুল কেটে দিচ্ছেন। কখনোবা সোনম কাপুর আনন্দ আহুজার চুল ট্রিম করে দিচ্ছেন। অর্থাৎ একা একা চুল কাটা কঠিন। তাই আপনার সঙ্গীর সাহায্য নিতে পারেন। কতটা, কীভাবে ট্রিম করতে চান বুঝিয়ে বলুন তাকে। তারপর তার হাতে বাকিটা ছেড়ে দিন। চুল ট্রিমও হবে। আবার লকডাউনের টেনশন, একঘেয়েমির মধ্যে একটু অন্যরকম সময়ও কাটাতে পারবেন দু’জনে।